হিল্লোল পুরকায়স্থ-
হাওরপাড়ের কৃষক পরিবারগুলোতে বাড়ছে সংকট, যতোদিন যাচ্ছে ততো কৃষকের ঘরে যেন নেমে আসছে অন্ধকার। বন্যার পানিতে সুনামগঞ্জ জেলার সবকয়টি হাওরের ফসল তলিয়ে যাবার পর থেকে কৃষকের পরিবারে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর হাহাকার। তেমনি এক কৃষক তারামিয়া (৪০); দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউপির বাঙ্গালপাড়া গ্রামে তার বসবাস। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে তার জমির ফসল। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার কিছু লোক সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সহায়তা পেলেও তারামিয়া কোন সহায়তা পাননি। পাননি বিজিএফ সহায়তাও। ঘরে যেটুকু খাবার আছে তাও শেষ হয়ে আসছে তাছাড়া অন্যান্য খরচতো আছেই।

পরিবারের ৮ জন সদস্য নিয়ে পরিবার পরিচালনার চিন্তায় ভেঙ্গে পরেছেন তারামিয়া। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারি তারা মিয়া। তারা মিয়া বলেন- ‘আমরা কৃষক কৃষিকাজ করে পরিবার চালাই। আর আমাদের জমি গুলোতে বছরে একবার মাত্র ফসল ফলানো যায়। এখানে ছয় মাস পানি আর বাকি ছয় মাস শুকনো মৌসুম। তাছাড়া এখানে বিকল্প কোন কর্মের ব্যবস্থা নেই। তারা মিয়া বলেন একমাত্র নির্ভরশীল যে ফসলের উপর তা হারিয়ে আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। তিনি বলেন যতোদিন যাচ্ছে আমার পরিবারে অভাব ততো প্রকট হয়ে উঠছে। এলাকার একজন বয়স্ক লোকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন- ফসল নির্ভরশীল কৃষকরা ফসল হারিয়ে বড্ড বিপাকে পরে গেছে। তিনি আরোও বলেন গ্রামের অনেক কৃষক গ্রাম ছেড়ে কাজের সন্ধানে শহরে চলে গেছে। ভাটি দল গ্রামের অপু চৌধুরী বলেন- আমাদের গ্রামের মানিক তালুকদার, স্বপন দাস, অমল তালুকদার, সুরঞ্জিত দাস, শৈলেন তালুকদার, রাধিকা পুরকায়স্থ, দেবাশীষ চৌধুরী পেটের ক্ষুধা নিবারনে ভিটা বাড়িঘর ছেড়ে স্বপরিবারে ঢাকা চলে গেছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn