বার্তা ডেস্ক :: দেশের নাটক-সিনেমায় বিয়ের দৃশ্য ধারণ করার সময় ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডকে (বিএফসিবি) বিবাদী করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান নোটিশটি পাঠান। নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে সিনেমা, নাটকের বিয়ের দৃশ্যায়নে ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আরজি জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত ১৯৭৩ সালের মুসলিম আইনের ধারা ২ অনুযায়ী বিবাহ, তালাক, ভরণপোষণ, মোহরানা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পক্ষগণ যদি মুসলিম হয় সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়গুলোতে মুসলিম আইন (শরিয়ত) প্রযোজ্য হবে। সুতরাং মুসলিম নারী ও পুরুষ উপরোক্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করলেই তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবে। আর মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স (রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট ১৯৭৪)’ এর ধারা ৩ অনুযায়ী, মুসলিম নারী-পুরুষের মধ্যে বিবাহ মুসলিম আইন অনুযায়ী হবে। উক্ত আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী বিবাহ সম্পাদনের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে যদি নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) যদি বিয়েতে উপস্থিত থাকেন তবে তিনি বিবাহের অনুষ্ঠানের সময়ই বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করবেন। এছাড়া কেউ যদি বিয়ের রেজিস্ট্রেশন না করে তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। নোটিশে আরও বলা হয়, বিয়ে এবং বিয়ে রেজিস্ট্রেশন দুটোই পৃথক বিষয়। মুসলিম নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী। অপরদিকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স (রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট ১৯৭৪) আইন অনুযায়ী। এক্ষেত্রে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করা অপরাধ হলেও মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে বৈধ থাকবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন সিনেমা, নাটক এবং ভিডিওর বিভিন্ন দৃশ্যে বিয়ের দৃশ্যায়নে মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পূরণসহ “কবুল” শব্দ উচ্চারণ করে থাকেন। এর মাধ্যমে তারা মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবেন। তাই মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি মুসলিম আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ হবে। অভিনয়ের যুক্তিতে এই বিয়েকে অস্বীকার করা যাবে না।’ নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে সিনেমা-নাটকের বিয়ের দৃশ্যায়নে ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।-বিডি-প্রতিদিন

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn