আল-হেলাল-

সুনামগঞ্জে জেলা বিএনপিতে সংস্কারপন্থী সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের আগমন ঠেকাতে জেলার কিছু নেতাকর্মী মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুক্রবার বিকেল ৩টায় নজির হোসেন বিরুধী নেতাকর্মীরা  প্রতিবাদ স্বরূপ তার  বাসভবন ঘিরে  ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানাগেছে। নজির হোসেন বিরুধীরা যেকোন ভাবে দলে তার আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তারট সংস্কারপন্থী সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনকে প্রতিহত ও বর্জন করার ঘোষনা দিয়েছে।

জানা যায়, জেলা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি শহরের ষোলঘরস্থ বাসভবনে সুনামগঞ্জের চলতি দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। ঢাকা থেকে নেতা এসেছেন এমন খবরে সুনামগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকা জামালগঞ্জ ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার অনেক নেতাকর্মীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে শহরের ষোলঘরস্থ বাসভবনে আসেন। এ খবরে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়া সমর্থিত বিএনপির মূলধারার নেতাকর্মীরা শহরের আলীমাবাগ,কাজিরপয়েন্ট ও ষোলঘর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সম্মুখে অবস্থান করেন। সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই উত্তেজিত নেতাকর্মীরা নজির হোসেনের বাসভবন ঘিরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য নজির হোসেনের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ প্রশাসন ও র‌্যাবকে জানানো হলে র‌্যাব ও পুলিশের টহলদল তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সেলিম উদ্দিন আহমদ বলেন,নজির হোসেন বিএনপির বর্তমান কোন নেতা নন। তিনি ওয়ান এলিভেন এর একজন সক্রিয় পলিসি ম্যাকার। তার অপতৎপরতার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাভোগ করতে হয়েছে। জিয়া পরিবার অবর্ণনীয় দূর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে। ম্যাডাম তাকে মাফ করে দিলেও দল তাকে মাফ করেনি বা ম্যাডাম তাকে নিয়ে দলীয় কর্মসুচি পালনের জন্য জেলা বিএনপিকে কোন পত্র দেননি। তাই বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কর্মসুচি যাতে শহরে তিনি পালন না করতে পারেন এই লক্ষ্যে আমাদের মূলধারার সকল নেতাকর্মীরা শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আমরা তাকে দলীয় কোন কর্মসুচি কোনভাবেই পালন করতে দেবোনা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নজির হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল কাদের বলেন,জননেতা নজির হোসেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ৩বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি। এলাকায় দুর্যোগ চলায় তিনি ঢাকা থেকে এলাকাবাসীর খোজখবর নেয়ার জন্য এসেছেন। দেশনেত্রীর নির্দেশেই তিনি সবকিছু করছেন। তবে কাউকে বাদ দিয়ে নয় সকলকে নিয়েই তিনি বিএনপির কর্মসুচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবেন। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক প্রহরায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক শেষ হয় নজির হোসেনের। সাথে মত বিনিময়কালে নজির হোসেন বলেছেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে জেলার ৫টি আসনে বিএনপিকে সংগঠিত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি বিএনপিতে ছিলাম আছি এবং থাকছি। তিনি বলেন,আমার কোন উচ্চাভিলাষ নেই,চলতি দুর্যোগে মানুষের সুখ দু:খের সাথী হয়ে দল ও রাজনীতিকে নিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই। এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাদীর আহমদ ও রেজাউল হকসহ জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn