ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত তাদের হাইকমিশনারকেও ফিরিয়ে আনা হবে। ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রতিবাদ হিসেবে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া, প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সমপর্ক সীমিত করে দেয়া হবে, সকল ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করে দেয়া ও জাতিসংঘের কাছে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে এনএসসি। এ খবর দিয়েছে দ্য ডন। খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে কাশ্মীরকে সাংবিধানিকভাবে দেয়া বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত। এতে করে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, কাশ্মীরবাসীর জন্য যেকোনো মাত্রায় যেতে রাজি রয়েছে পাক সেনাবাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, এতে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে।
ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সামপ্রতিক ঘোষণার পর পাকিস্তানে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টে ডাকা হয় যৌথ অধিবেশন। তাতে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা হয়। এরপর বুধবার ডাকা হয় এনএসসির উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইমরান খান নিজে। তাতে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া এ বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চাইবার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া, কমিটি জানায়, তারা আগামী ১৪ই আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে পাকিস্তানে। এক বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকল কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে ভারতের জাতিবিদ্বেষী সরকারের কৌশল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মুখোশ উন্মোচন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, নয়া দিল্লিতে নিয়োজিত পাক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও ইসলামাবাদে নিয়োজিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছেন ইমরান খান। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান বরাবর দাবি কর আসছে কাশ্মীর একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। তবে ভারতের দাবি, এটি দ্বিপক্ষীয় সমস্যা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn