যুদ্ধের ক্ষতিপূরণের নামে গত ১৬ বছর ধরে প্রতিদিন ইরাকের ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি জ্বালানি তেল লুট করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার তেহরানের জুমার খুতবায় এমন মন্তব্য করেন ইরানের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ মোওয়াহ্‌হেদি কেরমানি।. ইরাকের অর্থনৈতিক সংকটের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন আয়াতুল্লাহ মোওয়াহ্হেদি কেরমানি। তিনি বলেন, শত্রুরা এ অঞ্চলের দেশগুলোতে গণআন্দোলনের নামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যেই সহিংসতায় মদদ দিচ্ছেন। তিনি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ না করতে ইরাকি পুলিশ বাহিনীর প্রতি আবেদন জানাচ্ছেন। তেহরানের জুমার নামাজের এ অস্থায়ী খতিব বলেন, পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট কোনও কোনও রাজনৈতিক গোষ্ঠী কারবালা ও বসরায় অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে। ইরাকের জনগণের উচিত এই অপরাধীদের থেকে দূরে থাক। ইরাকের সংকট সমাধানে বৈধ পন্থার আশ্রয় নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ইরাকের জনগণ দেশটির ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বৈধ সরকারের তত্ত্বাবধানে সংকট উত্তরণে সক্ষম।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আওয়াজ নিয়ে রাজপথে নামেন আন্দোলনকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ২০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে আট হাজার মানুষ। তবে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বিক্ষোভকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই ইরাক সরকারের পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রতিবেশী দেশ ইরান। সূত্র: পার্স টুডে, আল জাজিরা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn