পাটকল বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন করে উল্টো চাপের মুখে পড়লেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলাম। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন পাটকলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর রক্ষায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একসময় বিএনপি’র আমলের পাটমন্ত্রী মাঈদুল ইসলাম এ প্রশ্ন করায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আমলেই পাটকল ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশ্নকর্তা নিজেই বিএনপি আমলে এই পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। উনি অসত্য তথ্য দিচ্ছেন।আজ বুধবার দুপুরে দশম জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরকালে একেএম মাঈদুল ইসলাম সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য এই মুহূর্তে যে প্রশ্ন করেছেন উনি আসলে জাতীয় পার্টির সদস্য হিসেবে বলেছেন। কিন্তু আগে যিনি প্রশ্ন করেছেন। উনি অসত্য তথ্য উত্থাপন করেছেন। উনি (জিয়াউদ্দিন বাবলু) এই মাত্র বলেছেন বিএনপি’র সরকারের সময় পাটকে ধ্বংস করা হয়েছে। যিনি প্রশ্নকর্তা ছিলেন (মাঈদুল) তিনিও কিন্তু একসময় বিএনপি’র মন্ত্রী হিসেবে এই পাটগুলোর দায়িত্বে ছিলেন এবং বিএনপি ধ্বংস করেছেন এখন তিনি জাতীয় পার্টি করছেন। এসময় সংসদ গ্যালারিতে হাসির রোল পড়ে যায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুটমিলগুলো এরশাদের আমলে বেসরকারিকরণ করা হয়। সেসময় যে শর্তে বেসরকারিকরণ করা হয় তার একটি শর্তও কিন্তু মিল মালিকরা মানেনি। যার প্রেক্ষিতে শর্ত ভঙ্গের দায়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে জুটমিল ‘টেক ব্যাগ করছে’। টেক ব্যাগ করা মিলগুলো নতুন করে চালানোর ব্যবস্থা করছি।

১১৮টি দেশে পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে
বিশ্বের ১১৮টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটপণ্য রফতানি করা হয়ে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক। বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য বেগম হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়ার (মহিলা আসন-৩) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এসব পাটপণ্যগুলো হল-মিনারেল ওয়েল ট্রিটেড অয়েলট্রিটেড হেসিয়ান কাপড় এবং ব্যাগ, হল-মিনারেল ওয়েল ট্রিটেড ও ভেজিটেবল অয়েলট্রিটেড স্যাকিং কাপড় এবং ব্যাগ, সয়েল সেভার বা জিও জুট, পাটের বিভিন্ন প্রকারের সূতা, সিবিসি এবং পাটের শপিং ব্যাগ। সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে বিজেএমসি’র পাটগুলোতে পাটপণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ২,৫৬,৪৬২ টন। এই লক্ষ্যমাত্রা বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ৭৭১৮ টন কম।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn