পীর হাবীবুর রহমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেঃঃ রিফাতকে বর্বোরোচিতভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় দা দিয়ে দুই খুনী কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।একদল নপংসুক দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিয়েছে, নয়তো বিকৃত নির্মমতায় হত্যাকান্ড উপভোগ করেছে।মিন্নি বলেছে,এরা রিফাতের খুনি দলের।রিফাতের নববধু মিন্নি পাগলের মতোন চেষ্টা করেছে তরুন স্বামীটিকে বাঁচাতে।পারেনি।জল্লাদ তার বাধা আকুতি শুনেনি।তারা রক্তের নেশায় উন্মাদ হয়ে খুনের পৈচাশিক জিঘাংসাবৃত্তি পূর্ন করেছে। দিনদুপুরে এমন হত্যাকান্ড চারপাচজন মানুষ এগিয়ে এলেই প্রতিরোধ করতে পারতো।আসেনি।কেউ আজকাল আসেনা।আইনশৃংখলাবাহিনী পারেনি, তাদের অগোচরে অনেক হত্যাকান্ড হয়।তারা হয়তো এখন খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।

আমার প্রশ্ন আবারও করছি,সমাজের মানুষ যেমন দিন দিন অমানুষ খুনী হচ্ছে,তেমনি সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ কেনো বোধহীন!নির্জিব!কেউ হাক দেয়না,কেউ রুখে দাঁড়ায়না এমনটি কেনো!দাঁড়িয়ে হত্যাকান্ড উপভোগ করে মানসিক বিকারগ্রস্হ ছাড়া আর কারা?এই সমাজেরর মানুষ এতোটা নির্জিব,এতোটা নিজের লাভ লোভ আর স্বার্থে অন্ধ কেনো?সামাজিক প্রতিরোধে কোথাও কেউ নেই কেনো?এ পবিত্রভূমি খুনী ধর্ষক যৌননিপিড়ক লুটেরাদের অভয়ারন্য হতে পারেনা।এটা তাদের বাপ দাদার জমিদারি নয়।জনগনের নিরাপত্তা বিধানে জনগনকেও রুখে দাঁড়াতে হবে!

মিন্নির হাতের মেহেদী শুকিয়ে যায়নি।স্বপ্নভঙ্গে পাথরের মতোন।রিফাতের জন্য সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ শুনছি।এর মধ্যে একদল ফেসবুকে কথা তুলছেন,পুলিশ ও মিন্নির পরকীয়া প্রেমের সন্ধান করছে।মেয়েটিই যেনো খারাপ!কত জঘন্য পাপী আমরা।কত নপংসুক কাপুরুষ আমরা।খুনীকে দিনদুপুরে পাকড়াও করে এই হত্যা ঠেকাতে পারিনি, এখন প্রনয়ের বিকৃত পাঠ নিচ্ছি।আরে রিফাতকে যে হত্যা করেছে,যারা খুন করেছে তারাতো এখন কেবলই খুনি!জঘন্য খুনি।এখন কে কার প্রেমিক ছিলো,এ নিয়ে কথা কেনো?খুনির পক্ষে সাফাই না যুক্তি দাঁড় করানোর নির্লজ্জ বেহায়া বিবেকহীনদের প্রয়াস? আমরা প্রেম বা প্রেমিকের ইতিহাস শুনতে চাইছিনা।যারা এসব বলছেন তারাও মানসিকভাবে বিকৃত।আমরা,এই দেশ খুনীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।আমরা এই দেশে একের পর এক দিনদুপুরে এমন মধ্যযুগীয় হত্যাকান্ড আর দেখতে চাইনা।আমাদের সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn