বার্তা ডেক্সঃঃফ্রান্সে আবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবারের চেয়ে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন শনিবার। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৬১ ছাড়িয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি ও আইসিইউতে রোগির সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন করে আবার সংক্রমণের এমন বিস্তারে ব্যক্তিগতভাবে গ্যাদারিং বা একত্রিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একটি গ্রুপ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।  রোববার লা জার্নাল দু দিমাচে’তে প্রকাশিত এক কলামে চিকিৎসকরা বলেছেন, এই গ্রিষ্মে সবাই নতুন করে একত্রিত হয়ে আনন্দ করার পর এখন সময় হলো সতর্ক হওয়ার। তারা বলেছেন, একটি ছোট্ট ঘরে অধিক মানুষ অবস্থান করলে সেখানে বাতাস কম থাকে। ফলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। জুন থেকে সব বয়সীর মধ্যে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংক্রমণ বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে তরুণ, যুবকদের মধ্যে বেশি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। এসব দেশের কর্তৃপক্ষ মার্চে আরোপিত লকডাউন শিথিল করার পরই জুনে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়েছে। তা গত মাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

ফ্রান্সের সর্বশেষ কি পরিস্থিতি?
শনিবার জানানো হয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ২৪৩২ জনকে। এই সংখ্যা শুক্রবারের চেয়ে কমপক্ষে ৭৫ বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ৪১৭ জনকে পাঠানো হয়েছে আইসিইউতে। যা, ২৮ জন বেশি। উপরন্তু ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মহামারি বৃদ্ধির পর থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছেন শুধু ফ্রান্সে। বিশ্বে সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিক দিয়ে ফ্রান্সের এই সংখ্যা সপ্তম। কর্মকর্তারা এখন নতুন করে ৪২টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এসব এলাকায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্যারিস, লিয়ন, ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় পুরোটা। সম্প্রতি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স। তিনি বোরডেক্স, মারসেলি এবং গুয়ালেুপে দ্বীপকে সোমবার নতুন ব্যবস্থার অধীনে আনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। ট্যুর ডি ফ্রান্স আয়োজকরা এরই মধ্যে তাদের আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছেন।

ইউরোপের বাকি অঞ্চলের কি অবস্থা?
রোববার চেক প্রজাতন্ত্রে টানা তৃতীয় দিনের মতো একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৪১। প্রতিবেশী দেশগুলো চেক প্রজাতন্ত্রে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার থেকে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ থেকে দেশে ফেরার সময় নেগেটিভ সনদ দেখাতে বলেছে জার্মানি। স্পেনেও বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে। এই সংখ্যা ১০ হাজার ৭৬৪। যদিও সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা স্থিতিশীল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn