রাখাইনে জাতিগত নিধন আর রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সংঘাতের আশংকা দেখছে না দেশটির গণমাধ্যম। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত বলে মনে করছেন তারা।দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার’ -এ ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে।নিবন্ধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি সুন্দর ভ্রাতৃপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন সামুদ্রিক সীমানা নিয়ে জটিতলা থাকলেও ২০১২ সালে তা সমাধান হয়।কিন্তু বর্তমানে রোহিঙ্গা রিফিউজি নিয়ে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। রোহিঙ্গা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।বিভিন্ন সংস্থার মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। যা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট ভার। তবে এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশংকা নেই।মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন ও থাইল্যান্ডের সীমানা রয়েছে। ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ডের সীমানা ঘিরে স্বশস্ত্র গ্রুপ থাকলেও বাংলাদেশ সীমানায় সেটি নেই। কোনো বিদ্রোহীরা এখনও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে কোনো অস্ত্র পায়নি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সেখান থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না। সুতরাং মিয়ানমারের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে অবশ্যই সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো সন্ত্রাসীদের তার দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না বলে একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি রেখেছে।কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই দরিদ্র ও অশিক্ষিত। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো তাদের কাছে টানতে চেষ্টা করবে। সেটি যেন বাংলাদেশ সরকার প্রতিরোধ করে এজন্য মিয়ানমারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করা উচিত। রিফিউজি সংকট দুই দেশকে খুব সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলা করা দরকার।এজন্য মিয়ানমার সরকারকে রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ওই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে মিয়ানমারকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। মিয়ানমার যদি সেটি করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। সেটি করা হলে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে খারাপ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn