বাজেট কী জিনিস বুঝি না’
‘বাজেট কী জিনিস বুঝি না, কেউ কয় না, তালাশও করি না। হুনচি (শুনছি) মাইনষে কয় (মানুষে বলে), বাজেট হইলে জিনিসের দাম বাড়ে। এদ্দুরই (এইটুকু) জানি।’ এভাবেই বাজেট সম্পর্কে নিজের ধারণার কথা জানালেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের কৃষক রওশন আলী। শুধু রওশন নন, তার মতো একই অবস্থা হাওর পাড়ের কৃষকদের। সোনাপুর গ্রামের বর্গাচাষি আবুল কাশেম বলেন, ‘ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ, মেশিন দিয়ে ধান কাটা, ট্রলি দিয়ে পরিবহন করা ধান মাড়াইও মেশিনে করতে হয়। অথচ নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কোনও ব্যক্তি একা এসব মেশিন কিনতে পারবে না। তাই সরকারি সাহায্য প্রয়োজন। বাজেটে কৃষকদের জন্য এসবের ব্যবস্থা করতে হবে।’ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘কৃষকদের জন্য এক জায়গা থেকে সবকিছু পাওয়া ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষিঋণ, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ, সার, বীজসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণ নির্দিষ্ট একটি জায়গায় পাওয়া ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে কৃষক অনেক উপকৃত হবেন।’ ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রণজিত চৌধুরী রাজন বলেন, বাজেটে হাওর এলাকার কৃষকদের চাহিদা বিবেচনা করে আলাদা বরাদ্দ দিতে হবে। তাহলে কৃষক বাজেট থেকে লাভবান হতে পারবেন। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, হাওর এলাকার কৃষকদের জন্য ধানের উৎপাদন খরচ ও বিক্রির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। হাওর এলাকার পর্যটন শিল্পকে উন্নত করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কৃষিতে প্রণোদনা এবং ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে কৃষকরা ধান চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যার কারণে দেশের খাদ্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।