ভারতের বাবরি মসজিদ মামলার রায় নিয়ে টুইট করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। রায় ঘোষণার পর শনিবারই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এক টুইট করেন তসলিমা নাসরিন। এর পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। টুইটে তসলিমা লিখেন, আমি বিচারপতি হলে অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি সরকারকে আধুনিক বিজ্ঞান স্কুল বানানোর নির্দেশ দিতাম। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পড়তো। আর ৫ একর জমি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের নির্দেশ দিতাম সরকারকে, যেখানে রোগীরা বিনামূল্যে সেবা পেতো।

তসলিমার ওই পোস্টের পরই ভারতের ডানপন্থীরা তার ব্যাপক সমালোচনা শুরু করে। তসলিমার পোস্টের কড়া সমালোচনা করে শেফালি বৈদ্য নামের একজন লেখিকা বলেন, আপনি ভারতে শরণার্থী হয়ে হিন্দুদের কাছে জীবন ভিক্ষা চান আর আপনি প্রতিটা ঘটনার সমালোচনা করেন। বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে সেখানে স্কুল বানান। আপনার নিরক্ষর লোকদের তা দরকার। আরেকজন ভারতীয় লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অনুরাগ সাক্সেনা লিখেছেন, ম্যাডাম আপনি আমাদের দেশে একজন শরণার্থী। আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন, অনধিকারচর্চা নয়। লেখক ও কলামিস্ট সঞ্জয় দীক্ষিত লিখেছেন, ভগবান রামের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন যে এতকিছুর পরও হিন্দুরা আপনাকে সহ্য করে আছে। আপনি নিজের দেশেই বেশি কিছু বলার কারণে টিকতে পারেননি। আপনি একজন অকৃতজ্ঞ অতিথি। মেঘালয়ের গভর্নর তথাগত রায় লিখেছেন, প্রিয় তসলিমা নাসরিন শত্রু তৈরি করবেন না। ভারতকেও নাস্তিক করার চেষ্টা করবেন না। আপনি ১০ হাজার বছরেও সাফল্য পাবেন না। স্বামী বিবেকানন্দ যা বলেছিলেন, তা নিয়ে ভাবুন: ভারতীয়রা ধর্মের প্রাইজমে সব কিছু দেখে… আপনি কখনই এটি পরিবর্তন করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতত্বাধীন বেঞ্চ শনিবার অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে একটি হিন্দু মন্দির বানানোর পক্ষেই রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আর মুসলমানদের মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয় রায়ে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn