সিলেট :: সিলেটের বিশ্বনাথে পালিয়ে যাওয়ার দুইদিন পর তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের আধুয়া গ্রাম থেকে গত শুক্রবার তাদের আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলো- বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত চান্দ আলীর পুত্র জামাল মিয়া (১৯) এবং ওসামনীনগর উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে ও স্থানীয় জামিয়া পাঁচপাড়া হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা বেগম (১৫)।  এদিকে, মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে আটক জামাল মিয়া ও আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ (৩০) ধারায় গতকাল শনিবার (২৯ আগস্ট) বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন হুমায়রা’র পিতা সাদেক আলী। মামলা নং- ২০। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জামাল মিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আত্মীয়তার সম্পর্কে হুমায়রা আক্তারের ফুফুর সৎ শাশুড়ির ছেলে জামাল মিয়া। তাই হুমায়রা প্রায়ই তার ফুফুর বাড়ি জানাইয়া গ্রামে বেড়াতে যাওয়া-আসা করতো। সেই সুবাদে প্রায় বছর খানেক পূর্বে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রেমিক জামালের হাত ধরে গত ২৬ আগস্ট বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আদালতে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিবাহ করে তারা। এরপর হুমায়রাকে নিয়ে জামাল জগন্নাথপুরের আধুয়া গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়,  হুমায়রার পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিখোঁজের ২দিন পর আধুয়া গ্রাম থেকে হুমায়রা ও জামালকে আটক করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতেই হুমায়রার পিতা বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা আজ রোববার (৩০ আগস্ট) সিলেটভিউ-কে বলেন, জামাল মিয়াকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কিশোরী হুমায়রা বেগমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’তে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn