কোভিড–১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্বকে এখন মনে করতে হবে, আর্থিক বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এসব কথা বলেছে। বৈশ্বিক সংস্থাটি তিন সপ্তাহ আগে গত এপ্রিলে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার চেয়ে এখন পরিস্থিতি বেশি খারাপ বলে জানিয়েছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এক অনলাইন অনুষ্ঠানে জানান, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিদেশি অর্থায়ন বাবদ সম্ভবত ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বা আড়াই লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা লাগবে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর সপ্তাহ তিনেক আগে আইএমএফ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল। এক ট্রিলিয়নে এক লাখ কোটি। গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘আমরা জানি যে বর্তমান সংকট তাড়াতাড়ি চলে যাবে না, বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশ্বে জনস্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যার এখনো সমাধান হয়নি।’

আইএমএফ গত ১৪ এপ্রিল তাদের ‌‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক পূর্বাভাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‌চলতি বছরে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ কমবে। তবে এ বছরের দ্বিতীয় ভাগে করোনা মহামারির প্রভাব কমবে। এপ্রিলের ওই পূর্বাভাসে আইএমএফ তিনটি বিকল্প পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছিল। সেগুলো হচ্ছে: ১. প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকবে, ২. আগামী ২০২১ সালে ভাইরাসটি আবার দেখা দিতে পারে এবং ৩. দুটোই ঘটতে পারে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে গীতা গোপীনাথের পূর্বসূরী ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কেনেথ রোগোফ বলেন, কিছু দেশ সচ্ছলতার সংকটে পড়বে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn