বার্তা ডেক্স :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এক যুবক। ছয়দিন পর ওই ছাত্রীকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে জবানবন্দিতে ছাত্রী জানায়, বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণের পর কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ের কথা বলে মহাসড়কে রেখেই পালিয়ে যায় প্রেমিক যুবক। স্থানীয় সুত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ি। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিবেশী বড়হিত ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. আতিক মিয়া (২৮) বিভিন্ন প্রলোভনে দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করত। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আতিক তার দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন অভিযুক্ত আতিক ফোন করে জানায়, বিয়ে দিলে ফেরত আনা হবে ছাত্রীকে। এরপর আর কোনো ধরনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় দুই দিন পর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তে নামে। এ অবস্থায় অপহরণের শিকার ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানায় তাকে নির্যাতনের পর আতিক গাজীপুরের একটি সড়কে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তিনি তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো অভিযুক্ত আতিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত আতিকসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।= কালের কণ্ঠ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn