ব্রিসবেন টেস্ট নিয়ে ধোঁয়াশা কিছুটা কাটলেও ভারতকে নিয়ে খেলা খেলেই চলেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার তাদের জন্য এমনই এক হোটেল বরাদ্দ করেছে স্বাগতিকরা, যেখানে নিজেদের টয়লেটও নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হচ্ছে আজিঙ্কা রাহানে-রোহিত শর্মাদের। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে কোভিড-১৯ এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়মনীতি চালু রয়েছে এবং কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের অন্তর্গত গ্যাবায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফ থেকে যে কঠোর নিয়মবিধি বলবৎ রয়েছে, তাতে সেখানে গিয়ে ফের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করার কথা বলা হচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। যদিও ভারত সাফ জানিয়ে দেয়- সেটা সম্ভব নয়, প্রয়োজনে দেশে ফেরত আসব। যদিও সব শঙ্কা সংশয় পাশ কাটিয়ে কুইন্সল্যান্ডে আজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। সেখানে ‘সোফিটেল’ নামের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে উঠেছেন রাহানে-রোহিতরা।

কিন্তু হোটেল ফাইভ স্টার হলে কি হবে? সেখানে রুম সার্ভিস বা হাউসকিপিং সুবিধা দেয়া হয়নি ভারতীয় দলকে। অনুমতি মেলেনি সুইমিল পুল ব্যবহারের। হোটেলে যে জিমনেশিয়াম রয়েছে তা অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ের, আন্তর্জাতিক মানের ধারেকাছেও নয়। এমনকি নিজেদের টয়লেটও নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ এসেছে ভারতীয় শিবির থেকে। ভারতীয় দলের একজন মুখপাত্র হোটেলের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, ‘আমরা নিজেদের রুমে আবদ্ধ। নিজেদের ঘর নিজেদেরই গোছাতে হচ্ছে, টয়লেটও নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হচ্ছে। নিকটস্থ একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আসছে, যেটি আমাদের ফ্লোরে দিয়ে যাওয়া হবে। আমরা এই ফ্লোর থেকে কোথাও বের হতে পারছি না।’

‘পুরো হোটেল খালি। কিন্তু হোটেলের সুইমিং পুল, জিম থেকে শুরু করে কিছুই আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। হোটেলের সব ক্যাফে আর রেস্টুরেন্টও বন্ধ করে রাখা হয়েছে’-যোগ করেন ভারতীয় দলের ওই মুখপাত্র। বোঝাই যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার এমন ‘আতিথেয়তা’য় যারপরণাই বিরক্ত ভারতীয় দল। পুরো ঘটনা বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে জানিয়েছেন আজিঙ্কা রাহানেরা। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যদি সুযোগ সুবিধা ঠিক করা না হয়, তবে ভারতে ফিরে আসতে চান তারা। ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। ১-১ সমতার সিরিজে এই টেস্টটাই ফল ঠিক করবে। অস্ট্রেলিয়া কি তবে ইচ্ছে করেই ভারতকে এমন ‘শাস্তি’ দিচ্ছে?

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn