আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তালেবান। এখন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তালেবান। সোমবার (১৬ আগস্ট) আল-জাজিরার খবরে এ তথ্য জানানো হয়। ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ জানায়, সেনা পাঠালে ফল ভালো হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল তালেবনারা। এবার সরাসরি ভারতকে অবস্থান পাল্টানোর পরামর্শ দিলেন তালেবানদের মুখপাত্র শাহীন সুহেল। আশরফ গনি সরকারের সঙ্গে যে সখ্য ছিল, তালেবানের সঙ্গেও তেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখলে ভারত এবং আফগানিস্তান, দুই দেশের পক্ষেই তা মঙ্গলজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৫ আগস্ট) কাবুল দখলের পর তালেবানের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে পূর্ণ সময়ের সরকার গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এই তালেবান সরকারের সঙ্গে আগামী দিনে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু তালেবানের দাবি, ভারত চাইলে আগের মতোই দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সিএনএন-নিউজ-১৮ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহেল বলেন, ‘আশা করি ভারতও অবস্থান পাল্টাবে। এতদিন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যে সরকার চলছিল আফগানিস্তানে, তাদের সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। আগামী দিন সেই সমীকরণ বজায় থাকলে ভারত এবং আফগানিস্তান, দুই দেশের পক্ষেই তা মঙ্গলজনক।’
ক্ষমতা দখলের পর এখনও ২৪ ঘণ্টা কাটেনি, এরই মধ্যে আফগানিস্তানকে ফের ২০ বছর আগেকার ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এ ফিরিয়ে আনতে চাইছে তালেবান। তাতে তালেবানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের হাতে আফগানিস্তান কতটা সুরক্ষিত থাকবে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই তালেবানের সঙ্গে আগের তালেবানের কোনো মিল নেই বলে দাবি করেছেন সুহেল। তার যুক্তি, ‘আগে সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল না আমাদের। কিন্তু গত ২০-২৫ বছর ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি আমরা। জেনেছি কীভাবে সরকার চালাতে হয়, কীভাবে অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। আফগানিস্তানের পুনর্নির্মাণ চাই আমরা। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। অন্যদের সহযোগিতা ছাড়া তা অসম্ভব।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮২ বার