বার্তা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে প্রত্যেকের পরিবারের জন্য প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ লাখ টাকা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এই টাকা বিতরণ করবেন বলেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে এ রিট দায়ের করা হয়। এছাড়াও ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিমতল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দগ্ধ আরও কয়েকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গত ৬ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। পরে আদালত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে আইনজীবীকে রিট আবেদন করতে বলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn