কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, জাহিদ এফ সর্দার সাদি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া এবং ক্ষতিগ্রস্থ করতে বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ও চুরির আশ্রয় নিয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, বাংকো পপুলার পর্টোরিকো, ব্যাংক অব আমেরিকা, ফিফথ থার্ড ব্যাংক, ওয়াকোবিয়া ব্যাংক, ওয়াশিংটন মিউচুয়্যাল ব্যাংক, সান ট্রাস্ট ব্যাংক, ফার্স্ট প্রায়রিটি ব্যাংক এবং আরবিসি  ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে ডিপোজিটকৃত চেক ও অর্থ ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন, ম্যাককোয় ফেডারেল ক্রেডিট ইউনিয়ন এবং সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা এডুকেটর ক্রেডিট ইউনিয়ন শেয়ার ইন্সুরেন্স ফান্ড কর্তৃক ইন্স্যুর করা ছিল। এর প্রেক্ষিতে যেকোন চেক জমা দিলেই তার বিপরীতে তাৎক্ষনিক নগদ অর্থ উত্তোলন সম্ভব হতো।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, বরিশালের সন্তান বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত একজন পদস্থ কর্মকর্তা (যিনি সিনিয়র সহকারি সচিব হিসেবে অবসর নেয়ার পর ইন্তেকাল করেছেন)’র পুত্র সাদী ইতিপূর্বে নানা ধরনের প্রতারণা, জালিয়াতির মামলায় ২৭ বার গ্রেফতার হন। প্রতিবারই ছোটখাটো শাস্তি হয় তার। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের (ফরেন এফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান (ক্যালিফোর্নিয়া-রিপাবলিকান) এডোয়ার্ড রয়েস এবং কমিটির প্রভাবশালী মেম্বার কংগ্রেসম্যান (নিউইয়র্ক-ডেমক্র্যাট) এলিয়ট এঙ্গেল, কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবট(রিপাবলিকান-ওহাইয়ো), কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলী(ডেমক্র্যাট-নিউইয়র্ক), কংগ্রেসম্যান জর্জ হোল্ডিং (রিপাবলিকান-নর্থ ক্যারলিনা) এবং কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং (ডেমক্র্যাট-নিউইয়র্ক) এর স্বাক্ষর জাল করে তারেক রহমানের পক্ষে ও শেখ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে একটি বিবৃতি প্রচার করেছিলেন।  এরপর তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা থেকে অপসারণ করা হলেও তার সাথে লন্ডনে বসবাসরত তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজনেরা নিউইয়র্কে এসে দেন-দরবার করতেন। ৪ বছরের অধিক সময় যাবত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নেই, এ অবস্থায় তারেক রহমানের উপদেষ্টাদের সাথে সম্পর্কের কথা জানিয়ে ৫ খন্ডে বিভক্ত নেতাদের কাছে বিশেষ সুবিধা আদায়ই ছিল তার অন্যতম অবলম্বন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn