নির্যাতনের মুখে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে এবং নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে জনসংখ্যাবহুল বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত রিনা প্রিথিয়াসমিয়ারসি সোয়েমারনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সম্প্রতি মিয়ানমারে জাতিগত বিরোধের জেরে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা। নির্যাতনের মুখে টিকতে না পেরে দলে দলে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে।মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবেই ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে আসে, যারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য আছে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী মিয়ানমারের এই নাগরিকদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বাড়তি দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা।’ইহসানুল করিম বলেন, ‘আমাদের নীতি যে অত্যন্ত স্পষ্ট, তা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য কোনো দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টিতে আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।’ রোহিঙ্গা নাগরিকদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে স্থান দেয়ায় শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত। আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।এ সময় বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান রাষ্ট্রদূত।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn