মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূলে ৮ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ওক্সাকা রাজ্যে ৪৫ জন, শিয়াপেসে ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা প্রধান লুইস ফিলিপ পুয়েন্তেস। এছাড়া তাবাসকোতে আরও ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর মানুয়েল ভেলাসকো। খবর দ্য গার্ডিয়ান।বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে ৮ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে লোকজন ঘুমানোর পোশাক পরেই বাড়ি থেকে রাস্তায় ছুটে আসে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার কিছু আগে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি মেক্সিকোতে আঘাত হানে।বিবিসি ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মেক্সিকো উপকূলের পিজিজিয়াপান শহর থেকে ৮৭ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে; ভূমির ২০ কিলোমিটার গভীরে।ভূমিকম্পে মেক্সিকোর রাজধানীতে কিছু জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন ধরে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।এ ছাড়াও মেক্সিকোর দক্ষিণে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওয়াক্সাকা রাজ্যের জাচিতান শহরের মিলনায়তন কেন্দ্র, একটি হোটেল, একটি পানশালা এবং কয়েকটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরে স্বল্প উচ্চতার সুনামি হয়েছে। প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে মেক্সিকোর উপকূলে সাগরে ১ মিটার উচ্চতার সুনামি দেখা গেছে।ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে মেক্সিকোর আশেপাশের কয়েকটি দেশেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশগুলো হলো- গুয়েতেমালা, এল সালভেদর, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, পানামা, হন্ডুরাস ও ইকুয়েডর।  প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল ১০ হাজার মানুষ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn