ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে (৭৪) মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হয়েছেন । এতে কোমরে আঘাত লাগে এবং শরীরের কিছু জায়গায় আঁচড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে ম্যানিলার মালাকানাং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। দুতের্তের মুখপাত্র সালভাদর প্যানেলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাতহানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে ভূমি ধস ও ভবন ধসে অন্তত চারজনের মৃতু্য হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ডজনখানেক মানুষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। ফিলিপাইন ইন্সটিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, বুধবার রাতে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উত্পত্তিস্থল নর্থ কোটাবাটো প্রদেশের তুলুনান থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ৮ কিলোমিটার। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর একটার পর একটা আরও দুই শতাধিক আঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৪ বলে জানিয়েছে। প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছে। ফিলিপাইনের কিদাপাওয়ান শহরসহ বেশ কিছু এলাকা বিদু্যত্বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে। জেনারেল সানে্তাস শহরের গাইসানো শপিংমলে ভূমিকম্পের পরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নর্থ কোটাবাটো শহরের ভাইস মেয়র জোসেলিটো পিনল বলেন, ভূমিকম্পের সময় একটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। ভূমিকম্পে ভাইস মেয়রের কার্যালয়সহ বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের পৈতৃক নিবাস দাভাও শহরসহ যেসব এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সেখানকার সব স্কুল বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থান করছিলেন প্রেসিডেন্ট দুতের্তে। ফিলিপাইন একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প এবং টাইফুন আঘাত হানে। এর আগে ১৯৯০ সালে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn