সারোয়ার জাহান সাগর –

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) দিন দিন নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনা বেড়েই চলেছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্নতা শিক্ষার্থীদের পাঠসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজকে নিশ্চিত ভাবেই ব্যাহত করবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এর দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শ্রেণী কক্ষে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তাও আবার কথা স্পষ্ট শোনা যায় না। এছাড়া কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, একাডেমিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের ফুলেরটেক, খেজুরটেক, নলাম ছাএী হোস্টেল, ঘোড়াপীর মাজার এলাকায়ও একই সমস্যা বিদ্যমান।

জানা গেছে, বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। কিন্তু এই যদি হয় নেটওয়ার্কের অবস্থা ২০১৭ইং সালে। তাহলে দেশ কিভাবে ডিজিটাল হবে। এমনই সব অভিযোগ করেছেন শীর্ষ খবর এর কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান মল্লিক বলেন, “প্রতিনিয়ত আধুনিক নেটওয়ার্ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।” গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে কলড্রপ বেশী হয়ে থাকে যা সময় এবং অর্থ অপচয় করে থাকে। সমকাল সুহৃদ সমাবেশ গণবি শাখার সভাপতি বিধান মুখার্জী একই অভিযোগ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় মোবাইল অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থার চরম দুরবস্থা। জরুরি যোগাযোগের সময় কলড্রপ, ইমার্জেন্সি নেটওয়ার্ক, ডেটা প্রবলেমের মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে জরুরি কাজে যোগাযোগ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তনুজা চক্রবর্তী জানান, নেটওয়ার্কের যে বাজে অবস্থা তাতে এয়ারটেল সামনের দিনগুলাতে অনেক বেশি পরিমাণ গ্রাহক হারাবে। আর এখনতো রবি এয়ারটেল একসঙ্গে তারপরও এই বাজে অবস্থা। এ ব্যাপারে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ হলেও শিক্ষার্থীরা কোন সুফল পায় নাই। এখন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা বাংলালিংক, গ্রামীণ এয়ারটেলসহ অন্যসব নেটওয়ার্কের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn