মৌলভীবাজার  :: মৌলভীবাজারে দাদীকে বেঁধে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাব্বী (২৮) কে আটক করেছে র‌্যাব-৯।  চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে তাকে সোমবার আটক করে র‌্যাব-৯ ও পলিশের যৌথ অভিযান দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার এসআই এমরান হোসেন। তিনি জানান, আসামী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে। আমরা আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কাল (মঙ্গলবার) আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। বাকী আসামীকেও আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামীরা হলেন- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবাল গ্রামের মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৮) ও ওয়াতির আলীর ছেলে জাহিদ মিয়া (৩০)। দ্বিতীয় আসামী জাহিদ এখনও পলাতক আছেন। মামলার এজাহার সূত্র ও নির্যাতিতার মা জানান, গত ১৫ জুন কিশোরিকে দাদীর কাছে রেখে আত্মীয়ের বাড়ীতে রোগী দেখতে যান তার মা। ১৬ জুন গভীর রাতে দাদী পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই কিশোরী। এ সময় ধর্ষক জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে দাদীকে বেঁধে ফেলে। পরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পরে তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মেডিকেল রিপোর্টটেও ধষর্ণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং:১৭)। সর্বশেষ র‌্যাবের অভিযানে প্রধান আসামীকে আটক হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, আসামী রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালি ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষিতা মেয়ের পরিবারকে মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn