যারা মনোনয়ন পাননি তারা সবাই যোগ্য, সবাই আমার নেতা: হাবিব
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। শনিবার গণভবনে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এই নেতাকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। হাবিবুর রহমান হাবিব বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি এক যুগ আমি মানুষের পাশে ছিলাম। সিলেট-৩ আসনের জনগনের সাথে আছি। আজ এর মূল্যায়ন পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সব সদস্যের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। আমি এই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ২৫ জন নেতা। এরমধ্যে হাবিবকে মনোনীত করে দর।
অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা সকলেই যোগ্য। তারা সবাই আমার নেতা। উনারা প্রায় সবাই আমার সিনিয়র। তাদের সকলকে নিয়েই আমি কাজ করবো। নিজের অনুসারীদের উদ্যেশে হাবিব বলেন, আমার মনোনয়ন পাওয়ার খবরে কেউ মিস্টি বিতরণ করবেন না। উল্লাস করবেন না। পারলে মসজিদে দোয়া করুন। যারা আমার সাথে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা যাতে মনে কষ্ট না পান সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এই আসনের প্রায়ত সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের জন্য দোয়া কামনা করে তিনি বলেন, আমিও কয়েস ভাইর জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ যেনো তাকে জান্নাসবাসী করেন। হাবিব বলেন, ২০১৪ এ ১৯ সালের নির্বাচনেও আমি সিলেট-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। তখন পাইনি। তবু এলাকার মানুষের সাথে ছিলাম। এই এলাকার উন্নয়নে আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভূক্ত এলাকাগুলোকে উন্নয়নের মডেলে পরিণত করতে চাই। আগামীকাল সিলেট আসবেন জানিয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে আস্তা ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তার প্রতিদান দিতে পারি।
প্রসঙ্গত, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ সংসদীয় আসন। এ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৮ জুলাই এসব আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।