বার্তা ডেস্ক :: ‘আমি শুধু ভাবি হাতের টাকা শেষ হয়ে গেলে কি করব? আমার স্বামীর চিকিৎসা খরচ কি দিয়ে চালাব, আর অন্যান্য খরচ তো আছেই। খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। চিন্তায় রাতে ঘুম হয়না না। শুধু ভাবছি কি করব? টাকা ছাড়া সামনের দিনগুলো কি করে কাটাব?’ কথাগুলো বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাডসনের অধিবাসী রিতা ত্রিভেদি। করোনায় চাকরি হারিয়েছেন এ নারী। এখন বেকারভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।  গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমসংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ১৪.৭ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৩.৫ শতাংশ বেশি। সংস্থা জানায়, দেশজুড়ে লকডাউনে কাজ বন্ধ বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায়। হোয়াইট হাউজের অর্থনৈতিক ‍উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট বলেন, ‘অর্থনীতিতে আরো খারাপ খবর আসেছে। এ মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে হবে ২০ শতাংশ। গত এপ্রিলের বেকারত্বের হার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সংকটকেও ছাড়িয়ে গেছে। তখন ১৯৮২ সালে বেকারত্ব বেড়ে হয়েছিল ১০.৮ শতাংশ।’

শ্রমসংস্থা জানায়, করোনা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। এ দিকে সাত সপ্তাহ লকডাউনের পর দেশটির অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা শিল্প কারখানা খুলে দিচ্ছে। অনেকেই মনেকরছেন অর্থনীতি বাঁচাতে হলে একে একে লকডাউন খুলে দিতে হবে। তা না হলে আরো কত মানুষ চাকরিহীন হবে তার শেষ নেই। করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৯০ হাজার জন। এদিকে ব্যক্তিগত কর্মচারীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার জানালেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব ক্যাটে মিলারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন সিনিয়র ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী স্টেফেন মিলারের স্ত্রী। তিনি বহুবারই মাইক পেন্সের সঙ্গে ভ্রমণ করেছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনদের করোনা ধরা পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ কতটা সুরক্ষিত? সৌজন্যে :  রয়টার্স,কালের কণ্ঠ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn