বাত্তা ডেস্ক :: ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিসি) অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। মেধাবী ইংরেজি সাহিত্যের তাত্ত্বিক শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন ইউএসটিসির একদল শিক্ষার্থী। তাকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীরাই জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশের।  এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন দেয়ার অভিযোগে মাহমুদুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষককে লাঞ্ছিতকারি শিক্ষার্থীরাই নগরীর খুলশীতে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসের সামনে প্রায় একঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়। তবে ক্যাম্পাসের ভেতরে তারা মিছিল করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেন বলে জানান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী। অন্যদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে এ কমিটি গঠন করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। স্যার একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষ। প্রকাশ্যে স্যারের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যে আচরণ করেছে তা চরম অপমানের। এই অপমান শুধু স্যারের নয়, আমাদের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও। যারা শিক্ষকের গায়ে হাত দেয়, তারা কেমন ছাত্র!’ এদিকে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক এবং খুলশী থানার ওসি প্রনব চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএসটিসি’র উপাচার্যসহ শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইংরেজি সাহিত্যের কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি কবিতা পড়াতে গিয়ে নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া, পোশাক নিয়ে ক্লাসে নিয়মিত আলোচনা করেন শিক্ষক মাসুদ মাহমুদ। সেসব বিষয়কে যৌন হয়রানি হিসেবে অভিযোগ তুলে ইউএসটিসি’র একদল শিক্ষার্থী গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর তিনি ইউএসটিসিতে যোগ দেন। এদিকে লাঞ্ছনার শিকার অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ জানান, ইউএসটিসির ইংরেজি বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কয়েকজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। কারণ, তারা ক্লাশে ভাল পড়াতেন না বা পড়াতে পারতেন না। তাদের ইন্ধনেই শিক্ষার্থীদের একাংশ তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ তুলতে থাকেন। সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn