ধর্ষিতা মেয়েটির অভিযোগ, বিয়ের পর তাকে রনির বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে নানান টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এর মধ্যে রনি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করায় আর ছাত্রলীগ করা হয়তো সম্ভব হবে না। সে কারণে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ২০ লাখ টাকার দরকার। সেই টাকা তাকে জোগাড় করে দেয়ার জন্য চাপ দিলে টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এদিকে ধর্ষিতা মেয়েটি রনিকে বিয়ে করার জন্য আবার চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তাদের কেরানীপাড়ার বাসায় আসে। সেখানে রাত্রিযাপন করে এবং তাকে ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দেবে, বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযোগ করেন, উল্টো রনি তাকে সরে যাবার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সে হুমকি প্রদান করে তার হাত অনেক লম্বা প্রশাসন তার কথামতো চলে। এ ধরনের নানান হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গণেশপুর ক্লাব মোড় এলাকায় রনির ফুফুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোনো বিয়ে হয়নি রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনো কাবিননামাও সম্পাদিত হয়নি। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে তার ফুফুর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে আবেদন নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। বাধ্য হয়ে থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন বলে জানান তিনি। ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার বিচার দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়ের করার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মেহেদী হাসান রনিকে সভাপতি, রাকিবুল হাসান কাকনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হলেও অবৈধভাবে ৬ বছর ধরে রনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn