রাঙামাটি শহরে পূর্বপ্রস্তুতি নানিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির বেইজ কাটতে গিয়ে পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়ে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছে। রোববার দুপুর পৌনে একটার সময় শহরের মহিলা কলেজ এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- (১) তানভীর (১৭) পিতা শুক্কুর আলী, (২) সেন্টু মিয়া (৫৫) পিতা: মৃত: সুলতান মিয়া, (৩) আনফর আলী (৮০) পিতা: মহব্বত আলী। এ ঘটনায় আহত আরো দুই শ্রমিক বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহতরা সকলেই রিজার্ভ বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং তাদের নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এলাকায় বলে জানাগেছে। ঘটনার পরপরই দমকল বাহিনী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। এদিকে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সম্পূর্ন অবৈধভাবে কোনো ধরনের সেপটি নানিয়েই এই ভবনটি নির্মান করা হচ্ছিলো বলে প্রশাসন নিশ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি এই ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। এছাড়াও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা জানিয়েছেন, দূর্ঘটনা প্রতিরোধে কোনো প্রকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ নাকরেই বহুতল ভবন তৈরিতে মাটি কাটছিলো উক্ত শ্রমিকরা। এসময় পাহাড়ের নীচে বেইজ তৈরিকালে উপর থেকে মাটি চাপা পড়ে তিন শ্রমিক। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসে অন্যান্য সকলের সহযোগিতায় ঘন্টা খানেক চেষ্ঠা চালিয়ে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। এদিকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল ইসলাম রনি জানিয়েছেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছি, ঘটনাস্থল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ওসি জানিয়েছেন, জনৈক প্রাথমিক শিক্ষিকা পারভীন আক্তার এই ভবনটি বানাচ্ছিলেন বলে আমি জেনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মহিলা কলেজ এলাকার ঠিকাদার সেলিম এর বোন প্রাথমিক শিক্ষিকা পারভীন আক্তার উক্ত নির্মানাধীন ভবনের মালিক। তার স্বামী বিদেশে অবস্থান করছেন।