মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল, সম্প্রতি রাজধানীর রমনা থানায় নাট্যনির্মাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । পরে অভিযুক্ত ফয়সাল ফারহাদকে আটক করলে রোববার (১ নভেম্বর) বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থানার সামনে লঙ্কাকাণ্ড বাধান এ অভিনেত্রী। জানা যায়, নানা প্রলোভনে ওই তরুণীকে ২০১২ সাল থেকে শ্লীলতাহানি করে আসছে নির্মাতা ফয়সাল। এ বছরও একবার শ্লীলতাহানি করেছে ওই নির্মাতা। ফয়সালকে আটকের পর শান্তা দাবি করেন, ফয়সালের কাছে টাকা পান তিনি। পাওনা টাকা তুলে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ এ প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় বেঁকে বসেন শান্তা। থানাতেই কখনো অজ্ঞান হওয়ার ভান, কখনো গড়াগড়ি, কখনো চিৎকার-চেঁচামেচি ও কান্নার অভিনয় করতে থাকেন। রোববার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে তার এমন কর্মকাণ্ড! একপর্যায়ে থানা থেকে তাকে বের করে দেওয়া হলে থানার বাইরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন শান্তা।

বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কায় থানায় আসেন পুলিশের রমনা বিভাগের বড় কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাত ১টার দিকে অনেকটা বাধ্য হয়েই শান্তার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় ফয়সালকে। এদিকে শান্তার এমন অদ্ভুত কাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই তরুণীর নিরাপত্তায় নিয়োগ করা হয় চারজন মহিলা পুলিশ সদস্য। পরে অবশ্য শান্তা নিজেই অভিযোগ তুলে নিয়ে অভিযুক্ত যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন-অর-রশীদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ওই তরুণী ক্রমাগত সিনক্রিয়েট করছিলেন। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা যে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি, তা আমাদের কাছে একদমই নতুন অভিজ্ঞতা! সত্যি বলতে আমরা সবাই বিস্মিত! একপর্যায়ে তার জিম্মাতেই রাত ১টার দিকে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শান্তা বলেন, এসব কিছু হয়নি। আমি আসলে মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ মীমাংসার কথা বলায় আমি নমনীয় হই। একপর্যায়ে আসামীকে হাজতে ঢুকানোর কথা বললে আমি সিনক্রিয়েট করি। এরপর আসামীকে ছেড়ে দেন। আমরা বাসায় চলে আসি। আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই।-পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn