বার্তা ডেস্ক: রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে চালকদের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলতে না দেয়ায় অফিসগামী লোকজন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা চমর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সকাল ৮টা থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। কুৃড়িল বিশ্বরোড থেকে প্রগতি সরণী হয়ে রামপুরা-মালিবাগ পর্যন্ত রাস্তা একেবারে বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা। এসব রাস্তা দিয়ে গণপরিবহন, সিএনজি এমনকি মোটরসাইকেলও চলতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। অনেক উপায় না পেয়ে দীর্ঘপথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। ক্লান্ত স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ক্ষোভও ঝাড়ছেন সাংবাদিকদের কাছে। এদিকে পথচারীদের কেউ কেউ রিকশা চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে হুট করেই রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া ঠিক হয়নি। গত ৩রা জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে রাজধানীর দুটি রুটে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করবে না। এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার থেকেই আন্দোলনে নামে রিকশাচালকরা। গতকাল মানিকনগর, মুগদা, খিলগাঁওসহ ওই এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করে। যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতিতে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn