খুলনার খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার ৯ নম্বর রোডের ১০২ নম্বর বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজের ছেলে চাকরিচ্যুত পুলিশের এসআই তাজউদ্দিন মানিকের (৪১) অত্যাচারে অসহায় হয়ে পড়েছে এক হিন্দু পরিবার।লম্পট মানিকের লালশার শিকার অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে নিয়ে আজ রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শোফালী রানী রায়। এ বিষয়ে এই অসহায় পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়েছে। পরিবারটির অভিযোগ, তাদের জীবননাশের হুমকিসহ অন্তঃস্বত্তা কন্যাকে নিয়ে ভারতে চলে যাবার জন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকের সামনে মা শেফালী রানী রায় ও মেয়ে শিমা রায় তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। তাদের জীবন রক্ষা, প্রতারক মানিকের শাস্তি ও হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শেফালী রানী তার লিখিত বক্তবে জানান, এক বছর আগে প্রতারক মানিক প্রেমের ফাঁদে ফেলে বরিশালের উজিরপুর তারাশিরা এলাকার শুভ রঞ্জনের মেয়ে শিমা রায়কে (২০) নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে কথিত বিয়ে করেন। এরপর শিমার পরিবার বাধ্য হয়ে মেয়ের সুখের কথা ভেবে ঘটনাটি মেনে নেয়। সুযোগ সন্ধানী মানিক ব্যবসা বাণিজ্যের নামে শিমার পরিবারের কাছ থেকে নগদ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৭৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর শিমা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে মানিকের সাবেক রূপ বেড়িয়ে আসতে থাকে। শুরু হয় শিমাকে তাড়ানো ও সকল টাকা পয়সা আত্মসাতের প্রক্রিয়া। প্রতারক তাজউদ্দিন মানিক এর আগেও ৩টি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. ডলি, দিতীয় স্ত্রী মেহেরপুরের জনৈক নাহার খাতুন এবং তৃতীয় স্ত্রী পিরোজপুর জেলার সাথী আক্তার। তাদের সঙ্গেও একই ধরনের প্রতারণা করেছে মানিক।

প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলা ও নানা অভিযোগে স্থায়ীভাবে পুলিশ থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন তাজউদ্দিন মানিক। তবে এখন পর্যন্ত তার অপরাধ থেমে নেই। তার বিরুদ্ধে এ সকল বিষয়ে একাধিক মামলা হলেও সে আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে আসে। বর্তমানে ওই পরিবারটির টাকা পয়সা ফেরত দেয়া তো দূরের কথা তাদেরকে মেরে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে নিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য ভয়ও দেখানো হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমূর ইলী জানান, গত ১৮ মে মানিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে (নং-৩২)। এই মামলায় সে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn