বার্তা  ডেস্ক: সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভায় পাঁচ দিন আলোচনার পর অবশেষে ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে লিবিয়ার বিবদমান দুই পক্ষ। আজ শুক্রবার লিবিয়ায় জাতিসংঘের মিশন জানিয়েছে, দেশটির পরস্পর বিরোধী দুটি পক্ষ ঐতিহাসিক এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানায়, লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগে জেনেভায় পাঁচদিন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সরকার সমর্থিত ‘জিএনএ’ ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘এলএন’র মধ্যে আলোচনা হয়। ২০১১ সালে আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার মতো লিবিয়াতেও গৃহযুদ্ধে সূচনা হয়। ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘসময়ের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটিতে একপক্ষে রয়েছে আন্তর্জাতিক সমর্থিত সরকার জিএনএ এবং অপরপক্ষে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)। দেশটিতে কয়েক বছরের সংঘাতের পর জাতিসংঘের সহায়তায় সরকার গঠিত হয় লিবিয়ায়। রাজধানী ত্রিপোলি ভিত্তিক এ সরকারের লক্ষ্য ছিল দেশকে এক করা।

কিন্তু সবাই এতে সম্মত হয়নি এবং জেনারেল হাফতার নিজেই ক্ষমতা চান। তিনি তবরুক ও বেনগাজি শহরকে ভিত্তি করে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) গঠন করেন এবং ত্রিপোলি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যান। দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায়। রাজধানী ত্রিপোলির একেবারে নিকটেও তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়। এর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ, যার পরিপ্রেক্ষিতে জেনেভায় জিএনএ ও এলএনএ প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। লিবিয়ার জাতিসংঘ মিশন জানায়, লিবিয়ার দলগুলো দেশজুড়ে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। লিবিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তির দিকে যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn