শাবি ::  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকল প্রকার অনলাইন ভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম (এসাইনমেন্ট, টার্ম টেস্ট, কুইজ ও ভাইভা) বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অনলাইনে জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন বিভাগটির ফাইয়াজ ফজলু, এস এম সোহেল মেহেদী, আসিয়া আখতার খেয়া ও ইমরান হায়দার। অনলাইন পরীক্ষা বর্জন প্রসঙ্গে বিভাগটির প্রধান হিমাদ্রি শেখর রায়কে মৌখিক এবং লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর আগে ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট, টার্ম টেস্ট, কুইজ ও ভাইভা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ইংরেজি বিভাগের শতভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন শ্রেণীকক্ষের ক্লাসই করতে পারে নি। সেই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য  কর্তৃপক্ষের অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়া বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই না। 
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, কিছু বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে আনেন কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে অন্যতম ছিল- অনলাইনে কোনো পরীক্ষা না নেওয়া, এটেনডেন্স মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিথিলতা প্রদর্শন, লেকচারের নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা এবং ইন্টারনেট ও ডিভাইস সহায়তা প্রদান। তবে এসব প্রতিশ্রুতি খুব সামান্যই পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে মনে করেন তারা। এছাড়া স্বশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে না বসে শিক্ষাজীবনের কোনো প্রকার মূল্যায়নেই অংশগ্রহণ করবে না বলে উল্লেখ করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান হায়দার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। প্রথম দিকে অনলাইনে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে কিছু আশ্বাস দেয় প্রশাসন। তবে সে প্রতিশ্রুতি তারা বাস্তবায়ন করেন নি । বর্তমানে কর্তৃপক্ষ একের পর এক শিক্ষার্থী বিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই বিভাগের সব শিক্ষার্থীর সম্মতিক্রমে অনলাইনে সব ধরণের মূল্যায়ন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায় বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনলাইন পরীক্ষা বর্জন প্রসঙ্গে আমাকে একটি মেইল পাঠিয়েছে। আমি সেটি ডিন মহোদয়কে ফরোয়ার্ড করেছি। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।  বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফয়সল আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। আমি ছুটিতে আছি। তাই এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না।  সার্বিক বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন ক্ষমতা ও আমার নেই। আমার কাজ ছাত্রদের বিভিন্ন উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn