বার্তা ডেস্ক :: ক্ষণে ক্ষণে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের বাদ্যি জানান দিচ্ছে ঠাকুরঘরে উদ্ভাসিত মৃন্ময়ী রূপ প্রতিমাবরণ। চিন্ময়ী আনন্দরূপিণীর বোধন হয়েছে গতকাল। শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব, শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ মহাষষ্ঠী। রাত ৯টা ৫৭ মিনিট অবধি তিথি থাকবে। বৃহস্পতিবার শুরু হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। গোধূলি লগ্নে মন্দিরে মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটে উৎসবের। আগামীকাল শনিবার হবে মহাসপ্তমী। রোববার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। সোমবার মহানবমী আর মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বাণীতে বাংলাদেশের চিরাচরিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।’ সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার পিতৃগৃহে এসেছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায় চড়ে। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ-শোক, হানাহানি, মারামারি, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রকাশ পাবে। বিজয়া দশমীতে দেবী বিদায় নেবেনও ঘোড়ায় চড়ে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সারাদেশেই নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn