দিরাই উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনে পুলিশ। এরপর টানা কয়েক ঘণ্টা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, গ্রামের অন্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আবদুল বাছিরের পরিবারের বিরোধ ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরেই অন্যদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘কারা, কখন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সব আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলব না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে থানায় আনা হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হবে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। খুব শিগগির আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী বলেন, ‘এমন বর্বরতা আগে কখনো দেখিনি। দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’ আজ সকালে উপজেলার কেজাউরা গ্রামে শিশু তুহিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি একটি কদমগাছে ঝুলছিল। তার দুই কান কাটা ছিল, পেটে ঢোকানো ছিল দুটি ছুরি। চার ভাইবোনের মধ্যে তুহিন ছিল দ্বিতীয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn