শেখ হাসিনার সফরে সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলল: সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, কীভাবে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় সুইডেন সহায়তা করতে পারে সে ব্যাপারে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান সচিব। বাণিজ্যের ক্ষেত্র নিয়ে অনেক আলাপ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী। এদিকে পার্লামেন্ট পরিদর্শনের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সুইডেনের রাজপ্রাসাদে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে রাজা কার্ল ষষ্ঠদশ গুস্তাভ তাকে স্বাগত জানান। পরে সুইডিশ রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য বৈঠক হয়। বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব জানান, সুইডিশ রাজা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে সুইডেন বাংলাদেশে শুধু বিনিয়োগ নয়, উন্নয়নেও সহযোগিতা করবে বলেও জানান সুইডিশ রাজা।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের শুরুতেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনের দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়া ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ সুইডেনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পোশাক শিল্প খাতের উন্নয়ন, বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয় সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। এদিকে বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলে দেখা করতে আসেন সুইডেনের বিচার ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মর্গান জোহানসন। এসময় বৈধভাবে সুইডেনে আরও বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে শেখ হাসিনা ও জোহানসনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। এদিকে সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে শুক্রবার স্টকহোম ত্যাগ করে লন্ডন হয়ে শনিবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।