৭৫ বছর বয়সী বাবা প্রায় দুই কোটি রুপির সম্পদ সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেন। শেষ বয়সে বুড়ো-বুড়িকে সন্তানরা আগলে রাখবেন এতটুকুই চাওয়া ছিল তাদের। সম্পত্তি নেয়ার আগে সন্তানরাও কথা দিয়েছিলেন, প্রতিমাসে মা-বাবাকে ৫ হাজার রুপি করে খরচ দেবেন। তবে সম্পদ হাতে আসার পর সব কথাই যেন বাতাসে মিলিয়েছে। স্বার্থপর সন্তানরা মাসিক কোনও খরচ তো দেননি, তার উপর মা-বাবার খোঁজও রাখেননি তারা। কোটি টাকার সম্পদ হারানো উপায়ন্তরহীন বাবা-মা বর্তমানে অন্যের বাড়িতে কাজ করে নয়তো ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করছেন। সম্প্রতি হতভাগ্য কৃষক বাবন দিবাকর ও তার স্ত্রী সরস্বতি সন্তানদের বিরুদ্ধে খরচ চেয়ে মামলা করলে ভারতের মহারাষ্ট্রের এ ঘটনা সবার সামনে আসে। এ নিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে চলছে তুমুল আলোচনা। খবর এনডিটিভির।

জানা যায়, শিরির কার্দি গ্রামের বাসিন্দা বাবন দিবাকরের ১৯ একরের উপর জমি ছিল। সন্তানদের সঙ্গে কথাবার্তার প্রেক্ষিতে এই জমি তিন সন্তানের মধ্যে ভাগ করে দেন বাবন। কিন্তু সন্তানরা জীবন ধারণের খরচ না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত বাবন আর তার স্ত্রী আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন। তিন ছেলে বালাসাহেব (৫০), কিসান (৪৫) এবং চন্দ্রকান্তের (৪০) বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। বাবন বলেন, ‘২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট আমি সন্তানদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেই। জমি ভাগের পর প্রথম দুই-তিন মাস সন্তানরা ঠিকমতোই খরচ পাঠাচ্ছিল। এরপরেই তারা গড়িমসি শুরু করে। টাকা চাইতে গেলে তারা আমাকে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ঘুরিয়ে মারে। তবে জমি নেয়ার আগে তারা কতই না মধুর কথা বলতো।’ এদিকে বাবনের প্রথম সন্তান বালাসাহেব শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। তার মাসিক আয় ৫০ হাজারের বেশি। তিনি অবশ্য তার বাবা-মায়ের উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অন্যদিকে কৃষক বাবনের ছোট ছেলে চন্দ্রকান্ত বাবার মতোই কৃষক। তার দাবি, ফসল ঠিকমতো না হওয়ায় বাবা-মাকে সাহায্য করতে পারছেন না। তবে তাদের নিজের কাছে এনে রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn