সাত বলেই সর্বনাশ বাংলাদেশের!
১২৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির পর বাংলাদেশ ছুটছিল দুরন্ত গতিতে। ৭০ রান করে তামিম ফেরার পরও বাংলাদেশ ছুটছিল। কারণ, উইকেটে তখন ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। কিন্তু কাট করতে গিয়ে সাকিব ফিরলেন ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। পরের ওভারেই এর চেয়ে বাজে এক শট খেলে আউট হয়েছেন মুশফিক। কেদার যাদবের ফুল টসে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক (৬১)। বাংলাদেশের স্কোর নিশ্চিতভাবে তিনশ’র দিকে ছুটছিল, এই ৭ বল সব গড়বড় করে দিল। বাংলাদেশ অবশ্য সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ করবে ২৮তম ওভারের শেষ বল থেকে ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত ৪৫ বলের সময়টা নিয়ে। এ সময় ২৫ রানের মধ্যে ফিরে গেছেন তামিম, সাকিব, মুশফিক। একটা সময়ে তিনশ’র বেশি রান দেখা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত থামে সাত উইকেটে ২৬৪ রানে। সেটাও হয়েছে মাশরাফির ২৫ বলে ৩০* রানের কল্যাণে। উইকেটের আচরণ দেখে বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এজবাস্টনে প্রথম ১০ ওভারে উইকেট না হারালে পরে পুষিয়ে নেয়া যাবে।’
ওয়ার্নের খোঁচা বাংলাদেশকে!
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কাল ভারতের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। তার আগে ড্রেসিংরুমে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দু’দল। এমন সময়ে মাঠে দাঁড়িয়ে দল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশকে খানিকটা উপহাসই করলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। তার দুঃখটা অনুমেয়। বাংলাদেশের কারণেই সেমিফাইনালে যাওয়া হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। শেষ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুটি ম্যাচই পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমি গড়ানোর আগে ওয়ার্নের কণ্ঠে তাই সূক্ষ্ম খোঁচা।
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে আলাপকালে মাঠে দাঁড়িয়ে ওয়ার্ন বললেন, ‘বাংলাদেশ আসলে সেমিফাইনাল পর্যন্ত আসতে পেরেই সন্তুষ্ট। তাদের তাই ওভাবে নিচ্ছি না। তারা চেষ্টা করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ভারত অসাধারণ একটা দল। তাদের বিপক্ষে পেরে ওঠা খুবই কঠিন। দু’দলের মধ্যে পার্থক্য চোখে পড়ার মতো।’ ওয়েবসাইট।
আইসিসির টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ফিফটি
ব্যাটসম্যান ইনিংস রান গড় ৫০+
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া) ৯ ৫১৩ ৭৩.২৮ ৪
জ্যাক ক্যালিস (দ. আফ্রিকা) ৪ ২৭৭ ৬৯.২৫ ৩
তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ) ৪ ২১৬ ৫৪.০০ ৩
স্টিভ টিকোলো (কেনিয়া) ৬ ১৮৯ ৩১.৫০ ৩
মার্ক ওয়াহ (অস্ট্রেলিয়া) ৪ ২৯০ ৭২.৫০ ৩
আমির সোহেল (পাকিস্তান) ২ ১১৭ ৫৮.৫০ ২