আদালতে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানকার পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার ২০ জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির উদ্যোগে গুলশানের ইমামউল কনভেনশন হলে ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ আমি এতো গরমে কথা বলতে পারছি না। আজকে সারাদিন সকাল থেকে গরমের মধ্যে আদালতে ছিলাম। এতো গরম, এতো রুদের মধ্যে। ওখানে এতো এসি আছে, সেগুলো পর্যন্ত চালায় না। তারপরে রিমোট কোথায় লুকায় রাখে, বলে কি যে করে। কত নাটক ওখানেও হতে থাকে।” ‘‘ গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছি আমরা। এতো এসি লাগায়ে রাখছে, সেগুলো চালায় না। তারপরে অনেক চিল্লা-চিল্লি করার পরে শেষের দিকে একটু এসি দিয়েছে। তাই আমার পক্ষ থেকে মহাসচিব বক্তব্য দেবেন।”

পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ বলেন, ‘‘ আজকে এই রোজা মাসেও আমরা শান্তিতে নেই। আমরা আশা করেছিলাম, এই রোজার মাসে সরকার নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে কিছুটা বিরত থাকবে। দেখেছেন, গতকালই আমাদের দলের সিনিয়র সদস্যকে তার বাড়ি থেকে জোর থেকে বের করে দিয়েছে। এটা সারা দেশেই চলছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা্।”

‘‘ আজকেও আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে যেতে হযেছিলো। আবারো ৭দিন পরে তাকে কোর্টে যেতে হুকুম হয়। এথেকে বুঝা যায় কি ধরণের নির্যাতন তারা করছে। উদ্দেশ্য একটাই বিরোধী দল বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দূরে সরিয়ে রেখে তারা একতরফা নির্বাচন করতে চায়।’’

একতরফা নির্বাচন দেশের জনগন হতে দেবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ সকলকে একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।” মূল্য মঞ্চে এনডিপির সভাপতি খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। মূল্য মঞ্চে মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া।

ইফতারে জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, সাহাদত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, আসাদুর রহমান খান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাপের জেবেল রহমান গনি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল সাইফুদ্দিন মনি, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিশের শেখ গোলাম আজগর,এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।

এনডিপির কেন্দ্রীয় নেতা কাররী আবু তাহের, মোকাদ্দের হোসেন, রাজু আহমেদ, আমিনুল ইসলাম টুকু, জামিল আহমেদ,শামসুল আলম, মোহাম্মদ মূসা সহ নেতৃবৃন্দ ইফতারে ছিলেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল আলম চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, জেবা খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn