সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচে বিদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। মন্ত্রী আজ (সোমবার) দুপুরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সিদ্দিকুরকে দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের একথা জানান। এর আগে তিনি হাসপাতালে শয্যাশায়ী সিদ্দিকুরকে সান্ত্বনা দেন। এসময় সিদ্দিকুর তার কাছে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দেন। বেলা ২টার কিছু সময় পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর মণ্ডল, প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু, ক্রীড়া সম্পাদক চিন্ময় রায়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল হোসাইন শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সিদ্দিকুরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিদ্দিকুরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হবে।’
পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ চেষ্টার কারণে সিদ্দিকুর আহত হয়েছেন- এই বক্তব্যের বিপরীতে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’ এদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন তার ফেসবুক স্ট্যটাসে লিখেছেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সিদ্দুকুরের পাশে আওয়ামী লীগ পরিবার, উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে পাঠানো হচ্ছে…’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে ঢাবির অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনে নামলে পুলিশের টিয়ারসেল সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুরের চোখে আঘাত করে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরপর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে শনিবার তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাঁ চোখের এক পাশ থেকে আলো দেখছেন সিদ্দিকুর রহমান। তবে ডান চোখে তিনি দেখছেন না। এর আগে রোববার সিদ্দিকুরকে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এদিকে সিদ্দিকুর আহতের ঘটনায় আন্দোলন করছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। রোববার তারা নীলক্ষেত অবরোধ করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn