সিপিএ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় চলমান কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসেসিয়েশন-সিপিএ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আগামীকাল রবিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স-সিপিসি’র উদ্বোধন করবেন। বিভিন্ন কমিটির বৈঠক ও সেমিনারের মধ্য দিয়ে ১ নভেম্বর থেকে ইতোমধ্যে এই সম্মেলন শুরু হয়ে গেছে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাত্য বিষয়, ‘কনটিনিউনিং টু এনহ্যান্স দ্য হাই স্ট্যান্ডার্ড অব পারফরমেন্স অব পার্লামেন্টারিয়ানস’। সম্মেলন শেষ হবে আগামী ৮ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী সকালে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পর বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলেন কেন্দ্রে সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগত বিদেশি অতিথিদের চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সিপিএভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান রাখবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ও সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, এবারের সিপিএ সম্মেলনের নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি না থাকলেও বাংলাদেশ এটা আলোচনায় আনতে পারে। স্পিকার শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সিপিএ’র মাধ্যমে সংসদীয় কূটনীতির ওপরও জোর দেবে বাংলাদেশ। শনিবার ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ১ থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সিপিএ স্মল ব্রাঞ্চের বিভিন্ন প্ল্যানারি সেশনের সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন জাতীয় সংসদের সদস্য তানভীর ইমাম ও ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী। তারা জানান, সিপিএ’র স্মল ব্রাঞ্চের বৈঠকে কমনওয়েলথ উইমেন পার্লামেন্টারিয়ানস-সিডব্লিউপি’র সদস্যরা সিপিএভুক্ত দেশের সংসদগুলোতে ৩০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। একইভাবে নারীদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণে সিপিএভুক্ত দেশগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েও প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
সিপিএভুক্ত ৫২টি দেশের মধ্যে ৪৪টি দেশের ১১০টি ব্রাঞ্চের জনপ্রতিনিধিরা এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স-সিপিসি’র ভাইস প্যাট্রন, আর দ্য গ্রেট বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিপিএ’র প্যাট্রন। সিপিএ ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করছে। সিপিএ’র মূল সম্মেলন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন (বিআইসিসি) কেন্দ্রে হবে। অন্যান্য সভা ইতোমধ্যে হোটেল রেডিশন ব্লু’তে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংসদ সচিবালয় জানায়, সিপিএ’র নয়টি রিজিয়ন রয়েছে। রিজিয়নগুলো হলো আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বৃটিশ আইল্যান্ড ও মেডিটেরিনিয়ান, কানাডা, ক্যারিবিয়ান আমেরিকাসও আটলান্টিক, ভারত, প্যাসেফিক ও দক্ষিণপূর্ব-এশিয়া। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এরমধ্যে নির্বাহী কমিটির সভা, কমনওয়েলথ ওমেন পার্লামেন্টারি রিস্টিয়ারিং কমিটির সভা, স্মল ব্রাঞ্চেস কনফারেন্স, বিভিন্ন সাব কমিটির সভা, রিজিওনাল গ্রুপ মিটিং, জেনারেল এসেম্বলি ও ৮টি কর্মশালা হওয়ার কথা।এগুলোর কিছু ইভেন্ট ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।