দেশের হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষক ও মৎস্যজীবী ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবার সহায়তা পাচ্ছে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এসব পরিবার আগামী জানুয়ারি (২০১৮) পর্যন্ত ৩০ কেজি হারে চাল সহায়তা পাবে। এ জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ছয় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে বরাদ্দপত্র দেয়া হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে গত মাচের শেষের দিকে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিস্তৃর্ণ হাওর অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। ডুবে যায় বোরো ফসল। হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে উঠে। মাছ খেয়ে মারা গেছে হাঁসও। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ৩১ জুলাই পর্যন্ত (৩ মাস ১০ দিন) ১০০ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয়ার কথা জানান। ওই সময় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ভিজিএফের আওতায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথাও জানান মন্ত্রী। পরে খাদ্য সহায়তার সময় আরও তিনমাস বাড়িয়ে অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। এখন আরও তিনমাস বাড়িয়ে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

জানা গেছে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য ৩৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন হবে। বরাদ্দপত্র অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে এক লাখ ৬৮ হাজার, সিলেটে ৫৫ হাজার, নেত্রকোণায় ৫৮ হাজার, কিশোরগঞ্জ ৬৫ হাজার, হবিগঞ্জে ২৯ হাজার ও মৌলভীবাজারে ৫ হাজার পরিবার এ সহায়তা পাবে। পরিবারগুলোর মধ্যে এসব চাল বিতরণের জন্য সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ১২০ টন, সিলেটে ৪ হাজার ৯৫০ টন, নেত্রকোণায় ৫ হাজার ২২০ টন, কিশোরগঞ্জে ৫ হাজার ৮৫০ টন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬১০ ও মৌলভীবাজারে ৪৫০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খাদ্য শস্য বিতরণের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিতরণ প্রতিবেদন অধিদফতরে পাঠাতে হবে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn