সিলেটে হচ্ছে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স
বার্তা ডেক্সঃঃদেশে প্রথমবারের মতো সিলেটে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স। সিলেটের লাক্কাতুরা এলাকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ঘিরে এই কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে নতুন আরেকটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া এই এলাকায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য একটি আউটার স্টেডিয়াম, একটি ক্রিকেট একাডেমি, ডরমেটরি ও স্কুল নির্মাণ করা হবে বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন। অনুশীলন স্টেডিয়ামের জন্য ইতোমধ্যে ৩ একর জায়গা বরাদ্ধ মিলেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা। ২০০৭ সালে সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান এলাকায় নতুন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে এটিকে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়। চা বাগান আর উঁচুনিচু টিলার ঘেরা এই স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য প্রথম থেকেই সবার নজর কেড়েছে। এই স্টেডিয়ামের গ্রিণ গ্যালারি প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশি-বিদেশি ক্রীড়া অনুরাগীদের।
সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই ৩ একর জমিতে নতুন আরেকটি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ স্টেডিয়ামটি শনিবার বিকেলে উদ্বোধন হচ্ছে। এই স্টেডিয়ামটি প্রথমে আউটার স্টেডিয়াম হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিলো। তবে এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের সব সুযোগ সুবিধা থাকায় নতুন স্টেডিয়ামকে ‘সিলেট ক্রিকেট গ্রাউন্ডস-২’ নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্রে জানা যায়, ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য আউটার স্টেডিয়াম হিসেবে নির্মিত হলেও আন্তর্জাতিক মানের সকল সুযোগ-সুবিধা থাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও বিসিবি মাঠটিকে আন্তর্জাতিক মাঠের মর্যাদা দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) আবেদন করেছে। নতুন স্টেডিয়ামের নাম সিলেট গ্রাউন্ডস-২ করায় পরিবর্তন আনা হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামকরণেও। এই স্টেডিয়ামকে ‘সিলেট গ্রাউন্ডস-১’ নামকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ইতোমধ্যে আইসিসিকে চিঠিও দিয়েছে বিসিবি।বিসিবি ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এই দুই স্টেডিয়ামের পাশে অনুশীলননের জন্য নতুন আরেকটি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে ৩ শতক জায়গা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। অনুশীলন স্টেডিয়াম নির্মিত হলে সেখানে একসাথে ৭০ জন করে প্রতিদিন ২১০ জন ক্রিকেটার অনুশীলন করতে পারবে। নির্ধারিত ফি প্রদান করে যে কোনো ক্লাবই সেখানে ক্রিকেটারদের অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবে।