বার্তাডেক্স :: সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় মসজিদের মুয়াজ্জিনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় তিনি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থেকে আশপাশের লোকজনকে ডাকলেও করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি।  এদিকে, মানুষের এমন আচরণকে ‘নির্মম’ বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল।  জানা গেছে, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ছিলো শত শত মানুষের লাইন। বিদেশ গমন্নেছুদের করোনা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন চলছিলো তখন। এসময় তাদের অদূরে কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পড়েছিলেন সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা সুলতান আহমদ (৫০)। রোববার জোহরের আযানের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। আশপাশের লোকজনকে ডেকেওছিলেন কয়েকবার, কিন্তু করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি প্রথমে সিভিল সার্জন অফিসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীও এগিয়ে আসেননি।

পরে সিভিল সার্জন অফিসের নিরাপত্তাকর্মী সুশীল মোহন্ত কয়েকজনের সহায়তায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সিএনজি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা সুলতান আহমদ।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকক্ষণ সময় মাওলানা সুলতান কার্যালয়ের সামনে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশ গমন্নেছুদের কেউও সহায়তা করতে যাননি। মাওলানা সুলতান আহমদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন অফিসের নিরাপত্তাকর্মী সুশীল মোহন্ত জানান, প্রায় ২০-২২ বছর ধরে মাওলানা সুলতান মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছিলেন।  তিনি বলেন, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক মাওলানা সুলতানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। তিনি  সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আর পরিবারের সদস্যরা থাকেন নেত্রকোনায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn