সুনামগঞ্জ:দুই বলয়ে বিভক্ত সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলে দুই পাড়া থেকে। তৃণমূলেও একই অবস্থা। দেড় দশক ধরে বিএনপির জেলা কমিটি হয়ে আসছে কেন্দ্র থেকে। কমিটি নিয়ে ত্যাগী ও নিবেদিত হিসেবে পরিচিত নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তৃণমূল নেতারাও বলছেন, কমিটি গঠনের বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলকে সংগঠিত করার বদলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। দলের সর্বস্তরের কর্মীদের মতামতের বদলে নিজ থেকেই প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।

আওয়ামী লীগ : জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আব্দুজ জহুরকে সভাপতি ও বর্তমান পৌর মেয়র আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আয়ূব বখত জগলুলকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। এর পরের বছর থেকেই প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বন্দ্বের জের ধরে দলে বিভক্তির শুরু। হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটে একাধিকবার। এ কারণে সাধারণ সম্পাদক আয়ূব বখত জগলুলকে দল থেকে বহিষ্কার করে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় নূরুল হুদা মুকুটকে। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে জগলুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। ২০০৭ সালে সভাপতি আব্দুজ জহুর মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান মতিউর রহমান। তিনি রমিজ মার্কেটস্থ কার্যালয় থেকে একাংশকে নিয়ে কর্মসূচি চালাতেন। তাঁর সময়ে বিভক্তিরেখা আরো বাড়ে, যার বিস্তৃত ছিল তৃণমূল পর্যন্ত। মতিউর-মুকুটবিরোধীরা শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে পৃথকভাবে কর্মসূচি চালাতেন। এখনো তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের নেতৃত্বে ওই কার্যালয় থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। একইভাবে জেলার ১১ উপজেলায় দলের নেতাকর্মীরা এখনো বিভক্ত। বর্তমানে জেলা সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুলকে নিয়ে একটি অংশ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে। অন্যদিকে পাঁচ সংসদ সদস্যকে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন আলাদা বলয় গড়ে তুলেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগে নতুন মেরুকরণ হয়। দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হন নূরুল হুদা মুকুট ও আয়ূব বখত জগলুল। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পান দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন। নির্বাচনে ইমনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মাঠে নামেন সভাপতি মতিউর রহমান। তিনি নূরুল হুদা মুকুটের পক্ষে কাজ করেন। জগলুলও যোগ দেন এ পক্ষে। অন্যদিকে এনামুল কবির ইমনের পক্ষে নেপথ্যে কাজ করেন জেলার পাঁচ সংসদ সদস্য। শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নূরুল হুদা মুকুট।

ওই নির্বাচনের আগ থেকেই সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামছুন্নাহার বেগম শাহানাসহ আলাদা বলয় তৈরি করেন এনামুল কবির ইমন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি হয়নি। এর আগে সম্মেলনের জন্য প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় তড়িঘড়ি করে যে কমিটি করা হয়েছিল সেসব কমিটির নেতাদের নিয়ে এখনো এক দিনও বসতে পারেননি জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।

জেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান আহমাদ সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করার বদলে নিজেদের পদ নিয়ে ব্যস্ত। ’আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আয়ূব বখত জগলুল বলেন, ‘কোন্দলের কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারছেন না দায়িত্বশীল নেতারা। ’ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ’ এদিকে সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের অন্তত ৩০ জন নেতা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্যরাও আছেন মাঠে।

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) আসনে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আলোচনা রয়েছে। তিনি ছাড়াও মাঠে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল। তা ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান আহমাদ সেলিম, রণজিত সরকার, শামীমা শাহরিয়ার, বিনয়ভূষণ তালুকদার, শক্তি রায়ের নামও শোনা যাচ্ছে।

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে টানা সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে তাঁর স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এখন এই আসনে নির্বাচনী মাঠে প্রধান প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় তিনি। তাঁর একমাত্র সন্তান সৌমেন সেনগুপ্তের মধ্যে বাবার ছায়া দেখছে দলের নেতাকর্মী ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুরাগীরা। উপনির্বাচনে মায়ের পক্ষে নিরলস কাজ করে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নিজের দুটি বাড়িই তিনি দলীয় কার্যালয় হিসেবে নেতাকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের ঐক্যবদ্ধ করার। মনোনয়ন আলোচনায় শীর্ষে আছেন তিনিই। মান্নান ছাড়াও আব্দুস সামাদ আজাদের বড় ছেলে আজিজুস সামাদ ডন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুকও প্রচার চালাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে দলের জেলা সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন প্রচার চালাচ্ছেন। এ ছাড়া পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের সমর্থকরাও নির্বাচনী এলাকায় পৃথকভাবে তাঁকে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুল রহমান মিসবাহও মনোনয়ন টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আলোচনা রয়েছে। তিনি ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমদ চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বিএনপি : ঢাকা ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি হয় না! দেড় দশক ধরে তা-ই হয়ে আসছে। গত এপ্রিলে ঢাকা থেকে দলটির ৫১ সদস্যের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সংস্কারপন্থী খ্যাত বহিষ্কৃত নেতা নজির হোসেনকে। সভাপতি পদে সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম নূরুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, কমিটিতে বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুগতদের বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছে বলে মনে করে বিক্ষুব্ধরা। অবশ্য কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, যাঁরা অবমূল্যায়িত হয়েছেন বলে মনে করছেন, তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়েই কোন্দল নিরসনের প্রচেষ্টা শুরু হবে।

কমিটি গঠনের পর জেলা শহরে গত রমজানে ইফতার মাহফিল ও আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এসব কর্মসূচিতে অবমূল্যায়িত বলে কথিত নেতাদের দেখা যায়নি। তা ছাড়া দলের তৃণমূলে যে কোন্দল রয়েছে তা নিরসনেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে পারেনি জেলা কমিটি। নেতাকর্মীরা জানায়, দেড় দশক ধরে জেলা কমিটি করা হচ্ছে ঢাকা থেকে। এতে তৃণমূলের মতামত প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ কারণে কোন্দল আরো বাড়ছে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতারা।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তৃণমূল নেতারা নতুন এ কমিটি গঠন বিষয়ে কিছুই জানি না। কেন্দ্র আমাদের ডেকে নিয়ে ঢাকায় কমিটি ঘোষণা করেছে। ’ বর্তমান কমিটি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অভিজ্ঞ নেতাদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন সামনে রেখে কোন্দল নিরসনের কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নিতে পারেননি জেলা বিএনপির বর্তমান দায়িত্বশীলরা। এতে তৃণমূল হতাশ বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতারা প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁরা নির্বাচনী এলাকায় দলের মধ্যকার কোন্দল নিরসনেরও চেষ্টা করছেন নিজ উদ্যোগে। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাদির আহমদকে এ প্রচেষ্টায় দেখা গেছে। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তিনি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে প্রবীণদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরিনও আলোচনায় রয়েছেন। সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলকেও প্রচারের পাশাপাশি কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। গত ১২ জুলাই তিনি মধ্যনগর থানার বহুধাবিভক্ত কমিটিকে নিয়ে একই মঞ্চে সমাবেশ করেছেন। তা ছাড়া সম্প্রতি হাওরের দুর্যোগে কৃষকদের নিয়ে কাজ করায় তাঁর একটা আলাদা ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতারা। এ আসনে দলে ফিরিয়ে আনা নজির হোসেনও প্রচার চালাচ্ছেন। তা ছাড়া ডা. রফিকুল ইসলামও রয়েছেন আলোচনায়। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরীও নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রচারের সঙ্গে দলের কোন্দল নিরসনে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন ও শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মুনসেফ আলীও রয়েছেন মনোনয়ন পাওয়ার আলোচনায়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ আসনে লন্ডনপ্রবাসী বিএনপি নেতা কয়ছর চৌধুরী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এ টি এম হেলাল মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে প্রবীণদের মধ্যে কর্নেল (অব.) আলী আহমদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী শাহীনূর পাশা চৌধুরীও রয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন। জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাদির আহমদ বলেন, ‘দলে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে নির্বাচনের আগে আর সম্ভব হবে না। ’

সাংগঠনিক সম্পাদক তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘জেলা কমিটির পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার এলাকায় সবাইকে নিয়ে কোন্দল নিরসনের চেষ্টা করছি। তা ছাড়া সম্প্রতি হাওরের কৃষকদের পাশে থেকে সর্বক্ষণ কাজ করায় দলের পাশাপাশি সাধারণ কৃষকরাও আমাকে উৎসাহিত করছে। আশা করি, আগামী নির্বাচনে দল আমার এসব বিষয় মূল্যায়ন করবে। ’ সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, ‘আমরা তৃণমূলের কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অল্পবিস্তর যে ভুল-বোঝাবুঝি আছে, তা দূর করতে আমি কাজ করছি। ’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn