মোহাম্মদ শাকির হোসাইন:২০০৮ সালের জাতীয় ইলেকশনের রাত। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কন্ট্রোল রোমে সাংবাদিক, কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভীড়। একটি একটি করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফলাফল আসছে। ডিসি সাবের হোসেনে নেতৃত্বে এডিসি ও ম্যাজিস্ট্রেটরা তা একটি শিট আকারে লিপিবদ্ধ করছেন। ১০/১৫ মিনিট পর পর দুয়েকটা কেন্দ্রের ফলও দিচ্ছেন। আমরা সেসময়ে যারা টেলিভিশনে কাজ করতাম তাদের মধ্যে সেকি প্রতিযোগিতা! কারআগে কে নিউজ পাঠাবে সেটা নিয়ে রীতিমতো লংকা কান্ড। রাত দুটার দিকে কিছুটা হালকা হতে রিফ্রেশ রোমের দিকে যাচ্ছি হালকা আলোয় দুজন লোককে দেখলাম এডিসি রেভিন্যুর দরজার সামনে থাকা তিন ঠেঙা টুলে ঠেসাঠেসি বসে বিড়ি ফুঁকছে। আমি সামনে যেতেই দাঁড়িয়ে গেল। বিড়ির হাত নত হয়ে পেছনে গেল। দেখলাম এদের মধ্যে একজন রতন। মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। এক আসনের নৌকার প্রার্থী। একজন সাংবাদিক হিসেবে তখন বুঝতে পারছিলাম এই লোক আর কয়েকঘন্টা পর এমপি হবে। ডিসির রোমে পায়ের ওপর পা তুলে ভাব নিয়ে কথা বলবে। পুরো দেশের এক তিনশ শতাংশের জমিদার হবে। বললাম আরে রতন ভাই আপনে এই টুলে বসে কেন সিগারেট খাচ্ছেন। ডিসির রোমে যান ঠেঙ্গের ওপর ঠেং তুলে সিগারেট খান গিয়ে। আপনি জানেননি মিয়া একটু পর ডিসি আপনারে স্যার ডাকবে। উনি বললেন, ভাই, ভাই, ভাই। নির্বাচনের আগে শুনছিলাম কয়েকজন সাংবাদিককে সামান্য টাকা খয়রাতি দিয়েছিল। সেই টাকা পেয়ে কয়েকজনের চলার স্টাইলও পাল্টে গিয়েছিল। আজ শুনি এই লোকের মানহানি হয়। এই লোকের মানহানী ঠেকাতে রাষ্ট্র মরিয়া। হায়রে রাষ্ট্র আমার। কবে তুই মানবিক হবি? লেখক: সম্পাদক sylhet24.net

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sunamganjbarta.com এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sunamganjbarta.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn