যশোরের শার্শায় বিদেশ ফেরত এক যুবক স্ত্রীর পরকিয়ার কথা জানতে পেরে ফেসবুকের লাইভে এসে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে সে ১শ টাকার একটি স্ট্যাম্পে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নাম লিখে রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। নিহত রফিকুল ইসলাম (৪০) শার্শা উপজেলার নাভারন কাজিরবেড় গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে। শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেইসবুক লাইভে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে বিষ পান করেন রফিকুল। পরে তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, রফিকুল ইসলাম নামের ওই যুবক নাভারন ফজিলাতুন নেছা কলেজে পিয়নের চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে চলে যায় মালয়েশিয়ায়। দীর্ঘদিন পর তিনি পর ১৩দিন আগে তিনি দেশে ফেরেন।
ওসি বলেন, মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সময়ে উপার্জিত সব টাকা তিনি তার স্ত্রীর নামে দেশে পাঠাতেন। রফিকুল দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী স্বামীর পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করে রফিকুলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। দেশে ফিরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আত্মহত্যার আগে রফিকুল ফেইসবুক লাইভে ঘটনাটি বলে যান এবং ১০০ টাকার একটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্ত্রীর সহযোগীদের নাম লিখে গেছেন বলেও জানান। এদিকে নিহত রফিকুল বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে ও ১০০ টাকার স্টাম্পে স্ত্রী মনিরা ইয়াসমিন, শাশুড়ি আয়শা আক্তার, খালা শাশুড়ি রিনা পারভিন, খালু শ্বশুর আব্দুল, মামা শ্বশুর মিঠু ও যশোরের লাইব্রেরি কোচিং সেন্টারের প্রিন্সিপ্যাল হাবিবুর রহমানকে দায়ী করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। সে লাইভে তার বাবাকে বলেন তার মৃত্যুর পর তার বালিশের নিচে রেখে যাওয়া স্টাম্পের নাম অনুযায়ী অভিযুক্তদের নামে মামলা করতে। সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, লাশ ও সব আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। নিহতের স্ত্রী মনিরা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn