মোবাইলে ক্রস কানেকশন, কথা বলা। কথা থেকে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ইমো-হোয়াটস অ্যাপে ভিডিও চ্যাটিং। অতঃপর মোবাইলেই বিয়ে। কিন্তু বাস্তবে যখন স্ত্রীর দাবি করেন মায়া আক্তার, তখনই বেঁকে বসেন সেকান্তর জমাদার। এরপর স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে বাহরাইন প্রবাসী ওই যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন সৌদি প্রবাসী তরুণী মায়া।  চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের গাজী জমাদারের বাড়িতে। ফরিদপুর সদর উপজেলার ফরিবাদ গ্রামের শেখ বাড়ির মো. হাফিজ শেখের মেয়ে মায়া আক্তারি জানান, গাজী জমাদারের ছেলে বাহরাইন প্রবাসী সেকান্তর জমাদারের সঙ্গে তার মোবাইলে বিয়ে হয়। তবে সেকান্তরের পরিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করে। মায়া আক্তার জানান, দেড় বছর আগে গৃহপরিচারিকার ভিসায় সৌদি আরব যাওয়ার পর মোবাইলে সেকান্তরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তারা হোয়াটস অ্যাপ ও ইমোর মাধ্যমে কথা বলার এক পর্যায়ে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তরুণীর ভাষ্যে, গত ৩ মে হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে সেকান্তর দেশে আসেন। এরপর তিনিও চাকরি ছেড়ে সৌদি থেকে ৩ জুন চলে আসেন।

আর স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেকান্তরের বাড়িতে যান। তবে মায়ার আসার খবরে সেকান্তর পালিয়ে যান। সেকান্তরের পরিবার মায়াকে মেনে না নেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। রাতে মহিলা ইউপি সদস্য পারভিন আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। এ বিষয়ে সেকান্তরের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে এ বিয়ের সঙ্গে জড়িত নয়।’ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার জানান, অভিযোগ নিয়ে মায়া আক্তারি এসেছিল। তাকে উপযুক্ত প্রমাণ ও অভিভাবক নিয়ে আসতে বলেছি। পরে মায়া আক্তার অভিভাবক আনতে ফরিদপুর গেছেন বলে জানা গেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn