সুনামগঞ্জ জেলার ভাটির জনপদ ১১টি উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহ বিরাজ করছে সেই সাথে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিঁতে অতিষ্ট মানুষ। বর্তমানে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর মধ্যে আবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫-২০বার বিদ্যুৎতের সাথে গ্রাহকদের সাথে চলে বিদ্যুৎতের চোর-পুলিশ খেলা। জানাযায়,তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশা সহ ১১টি উপজেলার বিপনী-বিতান গুলোতে এবারের দূর্গা পুজায় ভাল ভাবে বেচা কেনা করতে পারেন নি বিদ্যুৎ না থাকায় এখন শেষ সময়েও বেচা-কেনা করতে পারছে না দোকানীরা। আর ক্রেতারাও আসছেন না বাজারের দিকে প্রচন্ড গরমের কারনে। এদিকে ব্যাহত হচ্ছে অফিস,আদালতের সরকারী কার্যক্রম,ব্যবসা বানিজ্য,লেখাপড়া ও চিকিৎসা সেবা। এই পরিস্থিতিতে শিশু,বৃদ্ধ ও জটিল রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পরছেন,গামচি,চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। বিদ্যুৎতের চোর-পুলিশ খেলায় কারনে স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড গরমে ক্লাসে আর সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকার কারনে পড়াশুনা করতে পারছে না। জেলার উপজেলা গুলোতে একবার বিদ্যুৎ গেলে ৪-৫ঘন্টার আগে ফিরে আসার চিহ্ন নেই। এছাড়াও প্রায়ই সারা দিনেই বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে প্রচন্ড গরম আর বিদ্যুৎতের ঘন্টার পর ঘন্টার লোডশেডিংয়ের কবলে ১১টি উপজেলার হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক অতিষ্ট। সুনামগঞ্জ সদরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী,তাহিরপুর উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী সাদেক আলী,এরশাদ মিয়া,বিশ্বজিৎ রায়,বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ইউসুফ আল মামুন,টেইলার বাবুল মিয়া সহ অনেকেই জানান-বিদ্যুৎ এক বার গেলে ২-৩ঘন্টা এমন কি সারাদিন পার হয়ে যায় তার পরও বিদ্যুৎ আসার কোন চিহ্ন নেই। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে বেচাকেনা করতে গরমে অস্থির থাকতে হয়। বিদ্যুৎ সেত এখন অমাবর্ষার চাঁদ হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্কুল,কলেজের শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রীরা,বিদ্যুৎ গ্রাহক ও অভিভাবক গন ক্ষুবের সাথে জানান,বিদ্যুৎতের এই লুকোচুরির খেলা সকাল থেকে সারাদিন চলে যার ফলে গরমে প্রচন্ড অস্থির থাকতে হয়। আর সন্ধ্যায় গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন পড়াশুনার টেবিলে বসে তখনেই বিদ্যুৎ চলে যায় এতে করে ছেলে,মেয়েদের পড়াশুনা চরম ব্যাগাত গঠছে। সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে যানাযায়-সুনামগঞ্জ জেলার ৮০হাজারের অধিক পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুৎতের প্রয়োজন অনুযায়ী জাতীয় গ্রীড থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে তার পরও যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তা পরিবেশ,পরিস্থিতি ও লাইনে কাজ করার জন্য একটু সমস্যা হচ্ছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn