হাওরে অকালবন্যায় ফসল হানীর পর এক নিরানন্দ ঈদ উদযাপন করছেন হাওর বাসী। অভিভাবকরা যখন শিশুদের  দু বেলা দু’মুটো ভাত  তুলে দিতে পারছেন না সেখানে ঈদের নতুন কাপড় তো দুরের কথা। তারপরেও হাওরের শিশুদের আনন্দদানের একটি বিশেষ সুযোগ করে দিয়েছে হাওর নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটি এই ঈদে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক হাজার দরিদ্র শিশুর হাতে ঈদের নতুন কাপড় তুলে দেয়। পাশাপাশি তাদের কে দেওয়া হয় খেলন বেলুন, বাঁশি ইত্যাদি। জন্য একটি বিশেষ অনুষ্টানের আয়োজন করেছে পরিবেশ ও হাওর উন্নয় সংস্তা। ২৭ শে জুন সোমবার তাহিরপুরের টাঙুয়ার হাওর পাড়ে টেকের ঘাট শহীদ মিনার সংলগ্ন মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে হাওরের শিশুদের অংশগ্রহনে নাচ, গান, অভিনয় সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান পরিবেশিত হয় । অনষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন খান বলেন, “এই ঈদ উৎসব হাওর এলাকায় একটি ব্যতিক্রম আয়োজন।  হাওরপাড়ের শিশুদের নিয়ে চমৎকার এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

এ আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন- “হাওরে ফসলহানীর পর অভিবাবকরা শিশুদের নতুন কাপড় দিতে পারেননি, এই ঈদে শিশুদের আনন্দের কোন উপলক্ষ নেই । তাই আমরা এদের ঈদ উৎসবকে আনন্দময়  করে তোলার একটি সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শিশুদের হাসি দেখে প্রাণ ভরে গেছে।” সংস্থার সাধারন সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটু এই আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম ও তাহিরপুর সমিতি সিলেটের উপদেষ্টা আব্দুল হাই মাস্টার।  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষিকা নওরিন, পলি ও ফারহানা। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাঞ্জিব উস্তার,রাসেল, শিবলি, সজীব আহমেদ,ওয়াহিদুল হক, মোস্তাফা কামাল, আবুল বাশার জুয়েল,আবুল বাশার খান নয়ন, তছকির মিয়া, দীন ইসলাম, শাফিল মিয়া, ইসতিয়ার আহমেদ রাজু, শরিফুল ইসলাম রনি, শাহজালাল,আব্দুল কাদির,হাবিবুর রহমান খোকন প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn